জাবি লাইভ : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীদের ডেকে নিয়ে কান ধরে উঠবস, গালিগালাজ এমনকি থাপ্পড়ও দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ‘র্যাগিংয়ের কারণে ক্যাম্পাসে কাউকে বহিষ্কার করা হয় না’ এমন মন্তব্য করে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের নবীণ শিক্ষার্থীদের র্যাগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ২য় বর্ষের কয়েক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এ সময় প্রশাসনের কাছে র্যাগিংয়ের অভিযোগ না দেওয়ারও হুমকি দেয় তারা। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ৪৭তম আবর্তনের শিক্ষার্থীরা প্রক্টর বরাবর এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগে করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৫ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অনুশীলনকালে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ৪৭তম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের র্যাগিং প্রদান করে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অর্ণব, গুলজার, নাইমুর ও ইতিহাস বিভাগের আসিফ। তারা সকলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
অনুশীলনরত শিক্ষার্থীদের সপ্তম ছায়ামঞ্চে (টিএসসির পাশে) ডেকে নিয়ে পরিচয় তারা জানতে চায়। এরপর তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং পোষ্যকোঠা নিয়েও বাজে মন্তব্য করা হয়। একপর্যায়ে আসিফ ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নীরবকে থাপ্পড় মেরে কান ধরে উঠবস ও দাঁড়িয়ে থাকতে বলে। এমনকি সজীবকে পুকুরে ফেলে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়।
এছাড়াও উপমা নামের এক শিক্ষার্থীকে তার ধর্মীয় ও রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে কটুক্তি করে এবং পরবর্তীতে কোন অভিযোগ প্রদান করলে হলে দেখে নিবে বলে হুমকি দেয় তারা।
সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী অর্ণব বলেন, ‘তারা টিএসসিতে বসে সিগারেট খাচ্ছিলো এবং তাদের শার্টের হাতা লাগানো ছিলো না। এছাড়াও তাদের নৃত্যের অঙ্গভঙ্গি ছিলো দৃষ্টিকটু। তাই আমি, গুলজার ও নাইমুর তাদেরকে সপ্তম ছায়ামঞ্চের দিকে নিয়ে যাই এবং এসব কাজ করতে নিষেধ করি।’
মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্ণব বলে, ‘আসিফ মানষিকভাবে কিছুটা ভারসম্যহীন। তাই সে নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে নীরবকে থাপ্পড় দেয়। পরবর্তীতে আমরা আসিফকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তার বাবা-মার কাছে পাঠিয়ে দেই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর তপন কুমার সাহা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ঢাকা, ২২ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: