ঝিনাইদহ লাইভ : চোখের চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন ছাত্রলীগের নির্যাতনে জখম হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র এহসান রফিক। চিকিৎসা করাতে ৩ লাখ টাকা খরচ হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন টাকা দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ৮ মার্চ বৃহস্পতিবার ভারতের চেন্নাইয়ের শংকর নেত্রালয়ে ছেলের চোখের চিকিৎসা করাতে নিয়ে যান বাবা রফিকুল ইসলাম। চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে আসেন গত রোববার (১৮ মার্চ) রাতে।
ঢাবি ছাত্র এহসান রফিকের বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, ৮ মার্চ ভারতে যাই। এরপর ১১ মার্চ হাসপাতালে ছেলেকে ভর্তি করি। ১৩ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে চোখের অপারেশন শুরু হয়। চেন্নাইয়ের শংকর নেত্রালয়ের ডাঃ দুর্গা দাসের তত্ত্বাবধানে প্রায় ২ ঘন্টা অপারেশন করা হয়। ভারতে ছেলের চোখের এই চিকিৎসায় প্রায় ৩ লক্ষা টাকা খরচ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনো কোন প্রকার চিকিৎসার খরচ প্রদান করেনি। অপারেশনের পর চোখের বেশ উন্নতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ছাত্রলীগের নির্যাতনে জখম হওয়া শিক্ষার্থী এহসান রফিক জানান, চিকিৎসকেরা নিয়মিত চোখের ট্রিটমেন্ট করাতে বলেছেন। না হলে অন্ধত্ব বরণ করতে হতে পারে। আগের থেকে এখন চোখে বেশ ভালো দেখতে পাচ্ছি।
উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি নিজের ধার দেওয়া ক্যালকুলেটর ফেরত চাওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তিন দফা নির্যাতন করে জখম করে দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র এহসান রফিককে। এতে তার একটি চোখ ও মস্তিষ্ক বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ ঘটনার পর ৭ ফেব্রুয়ারি সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ছাত্রলীগের উপ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মেহেদি হাসান হিমেল, সহ-সম্পাদক ওমর ফারুক ও সহ-সম্পাদক রুহুল আমিনসহ তিন ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়।
ঢাকা, ২০ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: