কিশোরগঞ্জ লাইভ : চলন্ত রিকশায় উঠে গার্লফ্রেন্ডকে ছুরিকাঘাতে আহত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র। এঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এঘটনায় ভয়ংকর সেই কথিত বয়ফ্রেন্ডকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। রোববার কিশোরগঞ্জ আদালতে তিনি ওই জবানবন্দি দেন।
এসময় কথিত বয়ফ্রেন্ড মো. ইমরান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কিশোরগঞ্জের বেসরকারি ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এলএলবি শেষ বর্ষের ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার। তিনিও ওই ভার্সিটির বিবিএ শেষ বর্ষের ছাত্র। কিন্তু দীর্ঘদিনের এ সম্পর্কের মধ্যে হঠাৎ ভাঙনের সুর বেজে ওঠে এবং তাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে ওই ছাত্রী। প্রেমের সম্পর্কে এভাবে ভাঙন ধরার বিষয়টিকে কোন অবস্থাতেই মেনে নিতে পারেননি তিনি।
কিশোরগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. একরামুল হক শামীমের খাস কামরায় ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ইমরান। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কিশোরগঞ্জ মডেল থানার উপ-পুলিশ কর্মকর্তা মো: তোফায়েল হোসেন এবিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার রাতে ১১.১৫ টায় জেলার বাজিতপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় ইমরানকে। মো. ইমরান শহরের নগুয়া হাসমত উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় এলাকার বাসিন্দা মো. রতন মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, শনিবার ঈশা খাঁ ইউনিভার্সিটি থেকে বাসায় ফেরার পথে খরমপট্টির ম্যাপল স্কুল এলাকায় হামলার শিকার হন ছাত্রী। জোর করে রিকশায় উঠে ইমরান তার সাথে থাকা ব্লেড দিয়ে ওই ছাত্রীর মুখমণ্ডল এবং ঘাড়ে উপর্যুপরি জখম করেন।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মো. ইমরানকে একমাত্র আসামি করে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ছুরিকাঘাতের মাধ্যমে ইলমি সুলতানাকে রক্তাক্ত ক্ষত জখম করার কথা বলা হয়।
ঢাকা, ১২ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: