লাইভ প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকের রমরমা ব্যবসা চলছে। গোয়েন্দা সংস্থার তালিকার সূত্র ধরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের টার্গেট করেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশে মাদকের কারবার চলছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, চানখাঁরপুল মোড়, পলাশী, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, বুয়েট, আনন্দবাজার, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, নীলক্ষেত, কাঁটাবন ও নিউ মার্কেট এলাকায় বিক্রি হচ্ছে ফেনসিডিল, ইয়াবা ও গাঁজা। ফুটপাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে চলছে মাদক সেবন।
জানা গেছে, প্রভাবশালী একটি ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা হলের ভেতরেও গাঁজা ও ইয়াবা সেবন করে। বাইরের লোকজনও করে। তবে নেতাদের নাম ভাঙানোর কারণে কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না। পুলিশও এই সুযোগে মাসোয়ারা আদায় করে। তারা কোনো অভিযান করে না।
গোয়েন্দাদের প্রতিবেদনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক মাদকের পৃষ্ঠপোষক ও কারবারি হিসেবে ১৪ জনের নাম উঠে এসেছে। তারা হলেন—একটি প্রভাবশালী ছাত্রসংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জসীমউদ্দীন হলের আশিক পাঠান সেতু, আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক দারুস সালাম শাকিল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন হলের আপেল মাহমুদ সবুর, সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য মহসিন হলের ওয়াসিম ভুঁইয়া আলম, সহসম্পাদক বঙ্গবন্ধু হলের কামরুজ্জামান, আপ্যায়ন সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক মহসিন হলের মাহবুবুল ইসলাম, শামসুন নাহার হলের সভাপতি নিশিতা ইকবাল বদি, কেন্দ্রীয় সহসভাপতি নাজমুল হক (শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি শহীদুল্লাহ হলের মেহেদী হাসান, একই হলের সাবেক সহসভাপতি নিজামুল হক, কেন্দ্রীয় সহসভাপতি এসএম হলের আনোয়ার হোসেন আনু, সলিমুল্লাহ হলের সভাপতি তাহসান ও সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এহতেশামুল আলম রুমি।
এর বাইরেও বেশ কয়েকজন ছাত্রনেতার নাম রয়েছে যারা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আখতারুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, মাদকের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী সাংবাদিকদের জানান, আমরা নজরদারি করছি। প্রশাসনকেও আমরা সহায়তা করে থাকি।
[সূত্র : কালেরকণ্ঠ]
ঢাকা, ০৬ ফেব্রুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: