জাকির হোসেন রাজু: ঢাকার পাশেই নারায়ণগঞ্জ এর আড়াইহাজারে মেঘনার বুকে কায়াকিং করার এক মজার এবং রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হয়ে গেল। কায়াক দেখতে ছোট্ট একটি ডিঙি নৌকার মতোই। এক বা দুই জন বসতে পারে এই ছোট্ট সরু নৌকাতে, আমরা যে কায়াক গুলো ব্যবহার করেছিলাম সে গুলো ছিলো একজন বসার। অনভ্যস্তদের জন্য প্রথমে বেগ পেতে হয় বৈকি কিন্তু একবার আয়ত্ত করে নিতে পারলেই কায়াক শুনতে শুরু করবে আপনার কথা, তর তর করে চলতে শুরু করবে সামনের দিকে।
কায়াকিং শব্দটির সাথে কিন্তু আমরা সম্প্রতি পরিচিত, এই ধরেন আগের দশকেই। কিছু এ্যাডভেঞ্চার প্রেমী দের কল্যাণে আর কাপ্তাই কায়াকিং ক্লাবের কল্যাণে আজ তরুণদের ক্রেজে পরিণত হয়েছে রোমাঞ্চকর এই নৌভ্রমণ।
মাত্র কয়েকদিন আগেই ত বাংলা চ্যানেল কায়াকিং এর জন্য ফেসবুক গ্রুপ টি ও বি থেকে একটা দল টেকনাফ গিয়েছিলো, যদিও তারা বিজিবি এর অনুমিত না পাওয়ায় নাফনদীর পাশ দিয়েই কায়াকিং করে ফিরে আসতে হচ্ছে।
তবে শান্ত কাপ্তাইয়ে কায়াকিং করা, মেঘনায় কায়াকিং আর বঙ্গোপসাগরে কায়াকিং করা ভিন্ন ভিন্ন সাদ, ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতা।
প্রথমবারের মত ঢাকার কাছেই মেঘনায় আড়াইহাজারের চৌদ্দরচরে ফ্রী এই কায়াকিং এর আয়জোন করে যৌথভাবে Tourmoor এবং AQUAH। দুইদিনের এই ইভেন্টের একদিক রাতে ক্যাম্পিং এবং দুইদিন কায়াকিং করার সুযোগ ছিলো। প্রায় ৪০ জনের মত অংশনেয় বিভিন্ন সময়ে।
আমরা ঢাকা থেকে ৬ জনের একটা গ্রুপ ২য় দিন দুপুরে রওনা হই, রাস্তায় জ্যাম থাকায় আমাদের পৌছাতে পৌছাতে বিকেল ৩ টা, তারপর বিকেলে আমরা কায়াকিং করার সুযোগ পাই দেশের প্রশস্ততম নদী মেঘনার বুকে। চারটা কায়াক ছিলো আমরা ৬ জন ছিলাম পালা ক্রমে কায়াকিং করেছি।
আমরা তিন জন ত প্রায় মেঘনার ওপারে চলে গিয়েছিলাম। যখন বড় বড় বালুবাহী ট্রলার আমাদের পাশদিয়ে যাচ্ছিলো বড় বড় ঢেউ এর সাথে সে দোলা কি। কষ্ট হয়েছে ফিরে আসতে গিয়ে দেখি নদী আর শেষ হয় না।
অতঃপর আমরা কায়াকিং শেষ করে রোমাঞ্চকর এক অনুভূতি নিয়ে রওনা দেই ঢাকার পথে। আড়াইহাজার বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন তাই চিপসের খোসা বা ময়লা যেখানে সেখানে ফেলা থেকে বিরত থাকুন।
লেখকঃ
শিক্ষার্থী,সমাজকল্যাণ ও গবেষণা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
ঢাকা, ২৮ জানুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: