লাইভ প্রতিবেদক : ছাত্র ইউনিয়ন নেতাদের সঙ্গে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ছবি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ওই ছবিতে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান ও ছাত্রদলের বহিস্কৃত কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক সরদার আমিরুল ইসলামকে দেখা গেছে। ছবিটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ওই ছবি ফেইসবুকে ছড়িয়ে বিতর্ক তৈরি করছেন বলে ছাত্র ইউনিয়ন নেতাদের দাবি। ৬ মাস আগে তোলা একটি ছবি নিয়ে বিতর্কের কোন অবকাশ নেই বলে তাদের দাবি। ছাত্রলীগের সঙ্গেও তাদের অনেক ছবি আছে যার সঙ্গে আন্দোলনের কোন সম্পর্ক নেই।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বর্তমানে জেলে রয়েছেন। জেলে যাওয়ার আগেই ছাত্রদলের এ শীর্ষ নেতা ছাত্র ইউনিয়নের দুই শীর্ষ নেতার সঙ্গে এ বৈঠক করেছিলেন। যেটা আরো এক বছর আগের ঘটনা।
ওই ছবিটি রোববার বাংলাদেশ সময় ১০টার দিকে ফেসবুকে প্রথম শেয়ার করেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকি নাজমুল আলম। যিনি বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন। এর পরেই ছবিটি অন্যান্য নেতারা শেয়ার করলে ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়।
ছবিতে দেখা যায় একটি চাইনিজ রেস্তোরায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানের সাথে বৈঠক করছেন ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি তুহিন কান্তি দাস।
ছাত্রলীগ নেতাদের দাবি, দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করতে ছাত্রদল এবং বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাদের মধ্যে গোপন বৈঠক হয়েছিল।
এর আগে ছাত্রলীগ দাবি করেছিল ঢাবিতে আন্দোলনটি সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন ছিল না। বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর নেপথ্যে ছিল ছাত্রদল-শিবির। এই ছবির মাধ্যমে তাই প্রমাণ হচ্ছে বলে দাবি করছেন ছাত্রলীগ নেতারা।
ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি সভাপতি তুহিন কান্তি দাস ছাত্রলীগের নেতাদের সাথে তোলা কয়েকটি ছবি শেয়ার দিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, 'একটি ছবিকে ছাত্রলীগের সর্বস্তর থেকে ভাইরাল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ছবিটি ২০১৬ সালের। আমি তখন সদ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক এবং লিটন নন্দী সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলাম।'
তিনি আরও লিখেছেন, তখন ছাত্রদলের সঙ্গে নতুন কমিটি সৌজন্য সাক্ষাত করেছিলাম। একই সাক্ষাত আমরা ছাত্রলীগের সঙ্গে মধুর ক্যান্টিনেও করেছিলাম। আর আজানার কথা নয়, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কয়েক মাস ধরে জেলে। আর তখনকার ছবির অবয়বের সঙ্গে বর্তমান অবয়বের যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। তো বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই।
যাই হোক উপড়ের ছবিতে দেখা যাচ্ছে ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি আবিদ আল আসান এবং সাধারণ সম্পাদক মোতাহের হোসেন প্রিন্সের সঙ্গেও আমরা সেই সময় ছবি তুলেছিলাম।
ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী এ বিষয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন,
'একটি ছবিকে ছাত্রলীগের সর্বস্তর থেকে ভাইরাল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ছবিটি ২০১৬ সালের। আমি তখন সদ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি এবং তুহিন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিল। তখন ছাত্রদলের সঙ্গে নতুন কমিটি সৌজন্য সাক্ষাত করেছিলাম। একই সাক্ষাত আমরা ছাত্রলীগের সঙ্গে মধুর ক্যান্টিনেও করেছিলাম। আর আজানার কথা নয়, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বিগত ৬ মাসের অধিক সময় জেলে। আর তখনকার ছবির অবয়বের সঙ্গে বর্তমান অবয়বের যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। তো বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই'।
ঢাকা, ২৮ জানুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: