জাবি লাইভ : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মোফসেনা ত্বাকিয়া নামের এক ছাত্রীকে জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হতে সহযোগিতা করায় কথিত বয়ফ্রেন্ডকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কথিত ওই বয়ফ্রেন্ড জাবির ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৪২তম আবর্তনের ছাত্র। তার নাম সাহেদ ইসলাম ওরফে আল-আমিন। বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিন বোর্ডের মিটিংয়ের পর এক জরুরি সিন্ডিকেট বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আল-আমিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি নওগাঁ। এদিকে জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হওয়া সেই ছাত্রীকে পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেয়ায় এনিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
জাবি রেজিস্টার আবু বকর সিদ্দিক জানান, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ছাত্রীকে ভর্তি চেষ্টার অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া অধিকতর তদন্তের জন্য প্রফেসর রাশেদা আক্তারকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে ৩ সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে সেই ছাত্রী ত্বাকিয়াকে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে এক বছর ক্লাস করার পর বিভাগীয় সভাপতির সন্দেহের পরিপেক্ষিতে মঙ্গলবার প্রক্টর অফিসে জিজ্ঞাসাবাদে ত্বাকিয়ার জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। ত্বাকিয়া স্বীকারোক্তি দেন যে, আল-আমিন তার কাছ থেকে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তি বাবদ ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা দাবি করে ও বিকাশের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা নেন। এমন স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আল আমিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ঢাকা, ১৭ জানুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: