জাবি লাইভ: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রীতিলতা হল প্রশাসনের বিরুদ্ধে কক্ষ বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
কক্ষ বরাদ্দে অনিয়মের প্রতিবাদ করায় এক আবাসিক ছাত্রীর কক্ষ ২১ দিন ধরে তালাবদ্ধ করে রেখেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রীতিলতা হল প্রশাসন।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ওই হলের প্রোভোস্ট ও সুপারের পদত্যাগের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সহপাঠী ও বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে ভিসির কাছে স্মারকলিপি দেয় তারা।
জানা যায়, হল প্রশাসন ওই ছাত্রীর কক্ষের ভেতরে থাকা প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড় ও বইপত্রসহ তালা মেরে দেয়। ফলে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীকে বন্ধুদের কক্ষে মানবেতর দিনযাপন করতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সে অধ্যয়নরত এবং প্রীতিলতা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
ওই শিক্ষার্থী বলেন, “গত ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর আমি দুই সিটের কক্ষ থেকে এক সিট বিশিষ্ট ৪২৩নং কক্ষের জন্য আবেদন করি। সেই অনুযায়ী সদ্য বিদায়ী প্রোভোস্ট প্রফেসর লুৎফর রহমান ‘কক্ষ ফাঁকা হলে আমাকে দেয়া হবে’ মর্মে আশ্বাসও দেন।”
প্রশাসনিক সূত্র জানান, ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে পছন্দের রুম পাবার ক্ষেত্রে জেষ্ঠ্য ও নিয়মিত কিনা এবং পরীক্ষার ফলাফলকে বিবেচনায় রাখা হয়।
কিন্তু নিয়ম ভঙ্গ করে গত জুলাইয়ের শেষ দিকে বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের অপর এক শিক্ষার্থীকে ওই রুমটি বরাদ্দ দেয়া হয়। জেষ্ঠ্যতার দিকে থেকে অযোগ্যতা ছাড়াও এই শিক্ষার্থী হলে নিয়মিত থাকেন না বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
অভিযোগ উঠেছে, প্রীতিলতা হলের সুপার রোহেয়া বেগমের সাথে বরাদ্দ পাওয়া ওই শিক্ষার্থীর পূর্ব পরিচয় থাকায় এ রুমটি তাকে দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, “হলের আগের নিয়ম অনুসারে আমার রুমটি পাওয়ার কথা। এমনকি রুমটি পাওয়ার জন্য আমি অনেক আগেই আবেদন করেছিলাম। কিন্তু নতুন এ প্রোভোস্ট এসে আমাকে রুমটি না দিয়ে অন্য আরেকটি মেয়েকে ওই রুমে উঠাচ্ছেন।”
এসব বিষয়ে হল প্রোভোস্ট প্রফেসর কৌশিক শাহার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি ছুটিতে আছি। এখন কিছু বলতে পারবো না। পরে কথা বলবো।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ফারজানা ইসলাম বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
এসআর//জাবি, ২৬ সেপ্টেম্বর, (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এফআর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: