শেকৃবি লাইভ: রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) ''কৃষিই কৃষ্টি-কৃষিই সমৃদ্ধি"-এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ‘জাতীয় কৃষি দিবস ২০১৬’ পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহের সহযোগিতায় বর্ণাঢ্য র্যালি, কৃষির চিত্র প্রদর্শনী, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ দিবস পালিত হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ এর নেতৃতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা এবং জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে বর্ণাঢ্য এক র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন থেকে বের হয়ে প্রধান সড়ক সমূহ প্রদক্ষিণ করে। র্যালিতে কৃষি এবং গ্রামীন ঐতিহ্য বহনকারী যেমন খুশি তেমন সাজো, কৃষি যন্ত্রের প্রদর্শনী, কৃষি প্রযুক্তি এবং কৃষি শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়।
ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন- উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সেকেন্দার আলী, ট্রেজারার অধ্যাপক ডঃ মোঃ আনোয়ারুল হক বেগ। প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক মো. জুলফিকার আহমেদ রেজা, এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের ডীন নূরু মো. রহমতউল্লাহ, অধ্যাপক পরিমল কান্তি বিশ্বাস, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, নবান্ন উৎসবের সঙ্গে মিশে আছে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি। অগ্রহায়ণের শুরুতেই এপার বাংলা ও ওপার বাংলাতে চলে উৎসবের নানা আয়োজন। নতুন ধান কাটা আর সেই ধানের প্রথম অন্ন খাওয়াকে কেন্দ্র করে পালিত হয় নবান্ন উৎসব। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। এ যেন সত্যি হৃদয়ের বন্ধনকে আরও গাঢ় করার উৎসব।
বক্তারা বলেন, ২০০৮ সালে দেশে প্রথম জাতীয়ভাবে এ দিবস পালন শুরু হয়। পরের বছর স্বল্প পরিসরে হলেও তারপর আর এ দিবস পালিত হয়নি। কৃষিভিত্তিক দেশ হওয়ায় এদেশে সরকারিভাবে এ দিবস পালনের মাধ্যমে এ সংস্কৃতি রক্ষা করতে হবে।
ঢাকা, ১৫, নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এএসটি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: