ঢাবি লাইভ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ক্যান্টিনে ফাউ খেতে বাধা দেওয়ায় হুলস্থূল কাণ্ড ঘটিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা। ক্যান্টিনে চিৎকার চেঁচামেচি করেই ক্ষান্ত হয়নি ওই নেতা। ক্যান্টিন ব্যবস্থাপকসহ দুইজনকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন তিনি। এনিয়ে ক্যান্টিন কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এদিকে ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম ওয়াসিফ হাসান পিয়াস। তিনি ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি। তিনি হল ছাত্রলীগের সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেলের অনুসারী।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, হলের ক্যান্টিনে টাকা দিয়ে খাওয়ার টোকেন নিতে হয়। কিন্তু ছাত্রলীগ নেতা পিয়াস রোববার রাতে হলের ক্যান্টিনে গিয়ে কর্মচারী মনিরকে খাবার দিতে বলেন।
কর্মচারী জানান, ‘ভাই খাবার দেওয়ার জন্য টোকেন লাগবে।’ এ কথার সঙ্গে সঙ্গে মনিরের ওপর চড়াও হন পিয়াস। মনিরের পেটে ও মাথায় এলোপাতাড়ি ঘুষি ও কিল মারতে মারতে থাকেন পিয়াস। এ সময় ওই ছাত্রলীগ নেতা চিৎকার দিয়ে বলতে থাকেন, ‘আমি খাওয়ার টোকেন নিব না।’ এরপর জোর করে খাবার নিয়ে নেন এই নেতা।
খাওয়া শেষে যাওয়ার সময় ক্যান্টিন ব্যবস্থাপক শফিক তাকে বলেন, ‘একটা ছেলেকে না মেরে আমাকে বললেই খাবার দিয়ে দিতাম।’ এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে পিয়াস অাবারো ক্ষেপে যান। একপর্যায়ে ক্যাশ বাক্স লাথি দিয়ে ফেলে দেন। শফিককেও লাথি-ঘুষি দিয়ে আহত করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা পিয়াসকে কল দিলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
নবাব সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রলীগের সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেল বলেন, অভিযুক্ত পিয়াসের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আলোচনায় বসা হবে।
এস এম হলের প্রাধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার বলেন, ওই ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে পাঁচদিন সময় দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: