নাটোর লাইভ : মোবাইলে প্রেমের সূত্র ধরে লিভ টুগেদারের ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রেমিককে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রেমিকার ভাইয়েরা। পরে তাকে বিষ খাইয়ে ঘটনা অন্যদিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হয়। নিহত প্রেমিক কাওসার হোসেনের বাড়ি বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জে। তিনি রিয়াজুল মির্জার ছেলে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন কাওসারের পাকস্থলি থেকে বিষও ওয়াশ করা হয়েছে।
বড়াইগ্রাম উপজেলার সীমানাসংলগ্ন দাঁইড়পাড়া গ্রামে বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর থেকে প্রেমিকা সাগরী খাতুন, তার বাবা-মা ও ভাইয়েরা পলাতক রয়েছে।
জানা গেছে, প্রায় আড়াই বছর আগে দাঁইড়পাড়া গ্রামের সাহানুজ্জামানে মেয়ে সাগরী খাতুনের সঙ্গে কাওসার হোসেনের মোবাইলে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে তারা আশুলিয়া এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে প্রায় দুই বছর একসঙ্গে বসবাস করে। এ সময় কাওসার সাগরী খাতুনের সঙ্গে দাঁইড়পাড়া গ্রামেও আসে কয়েকবার। সম্প্রতি তাদের মধ্যে সম্পর্কের কিছুটা অবনতি হলে সাগরী খাতুন প্রেমিক কাওসারের অবর্তমানে বাসার টিভি-ফ্রিজসহ যাবতীয় মালামাল ট্রাকে করে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে।
কাওসার মঙ্গলবার রাতে সাগরী খাতুনের বাবার বাড়িতে যায়। সাগরীকে তার স্ত্রী এবং এসব মালামাল তার বলে দাবি করলে সাগরী তা অস্বীকার করে। এ সময় সাগরী খাতুনের ভাই নাহিদ হোসেনসহ কয়েকজন কাওসারকে বেধড়ক মারধর করে। বুধবার সকালে সাগরীর বাড়ির পাশের রাস্তার পাশ থেকে অর্ধচেতন অবস্থায় কাওসারকে উদ্ধার করে প্রতিবেশীরা স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করে। এ সময় তার মুখ থেকে বিষের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল।
স্থানীয় ক্লিনিক বনপাড়ার আমিনা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আনসারুল হক জানান, মারধরের কারণে তার শরীরে জখম ছিল। পাকস্থলির বিষ ওয়াশ করে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে কাওসার মারা যান।
নিহতের ভাই আবু বকর সিদ্দিক জানান, প্রেমের ফাঁদে ফেলে সাগরী আমার ভাইয়ের সব কিছু কেড়ে নিয়েছে। তারা পরিকল্পিতভাবে তাকে মারধরের পর মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে হত্যা করেছে।
ঢাকা, ০৮ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: