লাইভ প্রতিবেদক: বগুড়া থেকে ময়মনসিংহে যাওয়ার পথে চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর খুন হওয়া জাকিয়া সুলতানা রূপার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
রূপার ভাই হাফিজুর প্রামাণিকের আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার লাশ উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া।
নিহত ওই ছাত্রীর বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশে। তিনি বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে ঢাকা আইডিয়াল ল’ কলেজে এলএলবি শেষ পর্বের অধ্যয়নরত ছিলেন। পাশাপাশি ইউনিলিভার বাংলাদেশের প্রমোশনাল বিভাগে শেরপুর জেলায় কাজ করতেন তিনি।
গত শুক্রবার বগুড়ায় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা দিয়ে কর্মস্থলে ফেরারর পথে ওই ছাত্রী লম্পটদের কবলে পড়েন। তাকে চলন্ত বাসেই ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। অপরাধীরা নিরাপদ ভেবে অজ্ঞাত ওই তরুণীর মরদেহ বনের সড়কে ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনায় শনিবার একটি হত্যা মামলা দায়ের করে মধুপুর থানা পুলিশ। মরদেহের পরিচয় না মেলায় ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার বেওয়ারিশ মরদেহ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করে পুলিশ।
টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন হওয়ার চারদিন পর নিহত রূপার পরিবারের পক্ষ থেকে মধুপুর থানা পুলিশের কাছে মরদেহ উত্তোলনের আবেদন করা হয়। পরে থানা পুলিশ আদালতে মরদেহ উত্তোলনের আবেদন করে। বৃহস্পতিবার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন মরদেহটি উত্তোলনের আদেশ দেন।
বিকেলে রূপার মরদেহ উত্তোলনের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরিবারের পক্ষে নিহতের বড় ভাই হাফিজুর রহমান প্রামাণিক মরদেহটি বুঝে নেন।
এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে গত সোমবার ছোঁয়া পরিবহনের বাসের চালক হাবিবুর রহমান (৩০), সুপারভাইজার ফজল আলী (৫৮), সহকারি শামীম (২৭), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯)কে আটক করে মধুপুর থানা পুলিশ। আটককৃতরা টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নিকট ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। এসময় তারা দোষ স্বীকার করে লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দেয়।
ঢাকা, ৩১ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: