গাইবান্ধা লাইভ: শেষ রক্ষা হয়নি ছাত্রলীগ নেতার। অনেক তদবীর আর সুপারিশও কোন কাজে আসেনি। টাকা পয়সাও নরম করতে পারেনি সংশ্লিস্টদের। মেষতক তিনি ধরা খেলেন। তার দীর্ঘদিনের হেরোইন কেনাবেচার বিষয়টি এখন আইনের খাতায় লেখা হয়েছে। তাকে সকলেই হেরোইন রাসেল হিসেবেই চিনতেন। কেউ বলতেন নেতা রাসেল। তিনি যেদিকে তাকাতেন সেদিকেই টাকায় যেন লাল হয়ে যেতো। এখন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরাও মুখ খুলতে শুরু করেছেন রাসেলের বিরুদ্ধে।
এলাকাবাসী জানান, সীমান্তের হেরোইন রাসেলকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থেকে হেরোইনসহ গ্রেপ্তার করেছে গেয়েন্দা পুলিশ । তার পুরো নাম রাকিবুল ইসলাম রাসেল। বুধবার (৯ নভেম্বর) রাতে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের হল মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে নিয়ে পুলিশ নানান অভিযান পরিচালনা করেছে। রাসেল উপজেলার মনমথ গ্রামের আজহারুল ইসলামের ছেলে।
এ ব্যাপারে জেলা গেয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. মোখলেছুর রহমান জানান, বিভিন্ন সোর্সের ভিত্তিতে এক গ্রাম হিরোইনসহ রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। রাসেল ছাত্রলীগ নেতা বলে শুনেছি। হেরোইন বিক্রির সময় তাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিস্তারিত পরিচয় এখন জানার চেষ্টা চলছে।
এদিকে রাসেল নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা দাবি করেছেন। তার ফেসবুক প্রোফাইল এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে তাকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। এলাকায় তিনি ছাত্রলীগের নেতা হিসেবেই পরিচিত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রলীগ নেতা জানান, রাসেল দীর্ঘদিন নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা দাবি করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে আসছিল। এর আড়ালে সে মাদকব্যবসা করছিল।
এদিকে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেছ জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার ব্যাপারে বিভিন্ন তথ্য আসছে। আমরা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। তার রাজনৈতিক পরিচয় চানার চেষ্টা করছি। অন্যদিকে সুন্দরগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের একা নেতা জানান, রাসেল কখনও ছাত্রলীগ করেনি। ছাত্রলীগের সঙ্গে তার কোনো সর্ম্পক নেই।
ঢাকা, ১১ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএল
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: