নাটোর লাইভ: একি করলেন প্রধান শিক্ষক। তিনি ছিলেন হাই স্কুলের রক্ষক। শিক্ষার্থীদের অভিভাবক। কিন্তু তার ভূমিকায় এলাকাবাসী স্তব্দ। তিনি যা করলেন তা গোটা এলাকায় তুমুল ঝড় উঠেছে। এমনটি ওই এলাকায় কখনও ঘটেনি। নাটোর জেলার গুরুদাসপুরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক স্কুলছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পরীক্ষার হল থেকে ছাত্রীকে তুলে নিলেন সেই শিক্ষক। ওই প্রধান শিক্ষকের নাম ফিরোজ আহমেদ। নাজিরপুর মরিয়ম মেমোরিয়াল উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহম্মেদ ।
এই জঘন্য ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন। শনিবার (০১ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহমেদ উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে। আর ওই শিক্ষার্থী এবারের এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ওই শিক্ষার্থী শনিবার সকাল ১০টার দিকে ব্যবহারিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বিদ্যালয়ে যায়। দুপুর ২টার দিকে মেয়ে বাড়ি না ফেরায় বিদ্যালয়ে খোঁজ নিতে যান বাবা। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহম্মেদ তার মেয়েকে নিয়ে একটি মাইক্রোবাসে ওঠে চলে গেছে। কোথায় গেছে কেন গেছে তা কেউ বলতে পারে না।
সন্ধ্যার দিকে তিনি জানতে পারেন মেয়ে ও প্রধান শিক্ষক রাজশাহীতে অবস্থান করছে। পরে প্রধান শিক্ষকের স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে রাজশাহীর ভদ্রা এলাকার একটি বাসায় তাদের সন্ধান পান। এ সময় মেয়েকে নিয়ে আসার চেষ্টা করলে প্রধান শিক্ষক বাধা দেন।
শিক্ষার্থীর বাবা থানা পুলিশের কাছে গেলে ওই সুযোগে প্রধান শিক্ষক তার মেয়েকে নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান। তিনি রাজশাহীতে মেয়েকে খুঁজছেন। তবে এখনো সন্ধান পাননি। তবে ওই শিক্ষক ওই ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন বলে বিভিন্ন মারফর তার স্বজনরা জানতে পেরেছেন।
ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাতে গুরুদাসপুর থানায় শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহম্মেদসহ তার তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ও তার ভাইদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এলাকাবাসী জানান, ওই ফিরোজের সঙ্গে ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তার সঙ্গে যাওয়া আসা করতো। কিন্তু প্রধান শিক্ষক হওয়ায় কেউ বিষয়টি আমলে নেয়নি। মনে করতো হয়তো পড়াশুনার কাজে যাচ্ছে। কিন্তু ভেতরে ভেতরে তারা প্রেম করতো। একথা অনেকেই জানতো। কিন্তু প্রধান শিক্ষক হওয়ায় কেউ মুখ খুলতো না।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আব্দুল মতিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় একটি অপহরণ মামলা রুজু করা হয়েছে। ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। দ্রুত ওই শিক্ষককে আটক করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।
ঢাকা, ০২ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: