কক্সবাজার লাইভ: কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তিনি। হালে আলোচিত-সমালোচিত। সমালোচনার যেন অন্ত নেই। ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দখল-বেদখলের রাজনীতি ছিলো তার মূখ্য বিষয়। এতো অপকর্ম করলেও কোন দিন ধরা ছোয়ার মধ্যে ছিলেন না। অবশেষে এক কিশোরীকে ধর্ষনের মামলায় তিনি ফেঁসে গেছেন। ধরাও পড়েছেন র্যাবের হাতে। কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অনিককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
আবু কাউছার অনিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে এক কিশোরী বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বাদী চারজনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় এফআইআরভুক্ত অন্য আসামীরা হলো, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পরিহলপাড়া গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে আরব আলী (২৭), চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে জিলানী (৩৮), দেবিদ্বার উপজেলার নূরপুর গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে আবু কাউসার অনিক (৩৫) ও একই গ্রামের মনু মিয়ার পুত্র শাহজাহান মিয়াকে (৪০)।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় র্যাব-১৫ সিপিএসসি কক্সবাজার কলাতলী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে একটি আবাসিক হোটেল থেকে মামলার ৩নং আসামি আবু কাউছার অনিককে গ্রেফতার করে।
জানাগেছে শনিবার (২৪সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার শহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব ১৫ সহকারী পুলিশ সুপার বিল্লাল উদ্দিন। তিনি বলেন ওই ধর্ষণের পর তিনি পলাতক ছিলেন। আর এখানে এসে আরেক সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন অনিক।
সহকারী পুলিশ সুপার বিল্লাল উদ্দিন আরো বলেন, কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি অনিকের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করা হয়। এর পরেই আত্মগোপনে চলে যান তিনি। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় র্যাবের একটি দল কক্সবাজার কলাতলী থেকে অনিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে এলাকায় নানান আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
এলাকাবাসী জানান, অনিকের একটি শক্তিশালী গ্যাং রয়েছে। এরা নানান অপকর্ম করে বেড়ায়। এদের আয়ের মূল উৎস চাঁদাবাজি। নানান অপরাধ করেও পার পেয়ে যায়। কিন্তু এবারেই তিনি ধরা পড়েছেন।
ঢাকা, ২৫ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: