দিনাজপুর লাইভ: ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নির্মমভাবে প্রাণ হারিয়েছে স্কুলছাত্র মিনহাজুল ইসলাম মিনার। মরদেহ ফেরত পেতে তীব্র অপেক্ষায় রয়েছেন পরিবার ও স্বজনরা। দিনাজপুরের দাইনুর সীমান্তে নিহত এই স্কুল ছাত্রের মরদেহ ফেরত আনতে একের পর এ উদ্যেগ হাতে নিচ্ছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি)। সবশেষে পতাকা বৈঠক করেছেন বিজিবি। কিন্তু ঘটনার চারদিনেও নিহতের মরদেহ ফেরত দেয়নি বিএসএফ।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) নিহতের চাচাতো ভাই ওয়াজেদ আলী জানান, শনিবার ভারতের ভাদড়া হরিহরপুর বিএসএফ সীমান্ত ফাঁড়ির জোয়ানদের সঙ্গে বাংলাদেশের বিজিবি দাইনুর সীমান্ত ফাঁড়ির পতাকা বৈঠক হয়। বেলা ১১টায় সীমান্তের ৩১৪/৭ এস পিলারের কাছে শুরু হওয়া বৈঠক দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে। দুই ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে মিনারের ছবি দেখে তার বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন মরদেহ শনাক্ত করেন। তার মরদেহ ভারতের গঙ্গারামপুর থানা হেফাজতে রয়েছে বলে তাদের বিএসএফ জানিয়েছেন। তারা মরদেহ ফেরত দিতে রাজি হয়েছে।
ওয়াজেদ আলী আরও জানান, কিন্তু কখন কোথায় কীভাবে মরদেহ দিবে তা জানায়নি। পরবর্তীতে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহ হস্তান্তরের কথা জানানো হয়। তবে দীর্ঘ সময় পার হলেও মরদেহ ফেরত না পাওয়া সংশয় দেখা দিয়েছে।
ওয়াজেদ আলী বলেন, ‘বৈঠক শেষে জাহাঙ্গীরকে দাইনুর সীমান্ত ফাঁড়ির ভেতরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিজিবি। সেখানে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। পরে এক প্রতিবেশী গিয়ে তাকে অটোরিকশায় বাড়ি নিয়ে আসেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দাইনুর বিওপি কমান্ডার নায়েক সুবেদার আকতার হোসেন পতাকা বৈঠকের কথা এড়িয়ে যান এবং কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
৭ সেপ্টেম্বর দিনগত রাত ১১টার দিকে পাঁচজন শুটকি ব্যবসায়ী দাইনুর বিওপি ৩১৫ নাম্বার মেইন পিলারের সীমান্তের কাছে গেলে গুলি চালায় বিএসএফের সদস্যরা। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় স্কুলছাত্র মিনহাজুল ইসলাম মিনার। নিখোঁজ রয়েছেন দুই বাংলাদেশি একই ইউনিয়নের খানপুর এলাকার লতিফুরের ছেলে এমদাদুল (২৮) ও সালমানের ছেলে সাগর (২০)।
ঢাকা, ১০ সেপ্টেম্বর(ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//জেডআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: