কক্সবাজার লাইভ: এবার প্রতিশোধের জেরে এক ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। এনিয়ে এলাকায় নানান দল-উপদল সৃস্টি হয়েছে। এদিকে হামলার বদলা নিতে ইমন হাসান (১৮) নামের স্থানীয় এক ছাত্রলীগ নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। এলাকার প্রভাব প্রতিপত্তি নিয়ে দলীয় কোন্দলে এসব ঘটনা ঘটছে।
শুক্রবার ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার পৌরসভার বড় বাজারের ছালাম মার্কেটের সামনে ঘটনা ঘটে।
ইমন সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের পূর্ব মোক্তার কুলের বাসিন্দা ও বড় বাজারের খরুলিয়া পলিথিন হাউসের মালিক মো. হাছানের ছেলে। তিনি ৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এদিকে ইমনের পারিবারিক সূত্র জানায়, বছর তিনেক আগে শহরের বইল্ল্যাপাড়ার বায়তুশ শরফ মসজিদের মাহফিল চলাকালে কথা কাটাকাটির জেরে পৌরসভার পেশকারপাড়ার আবদুল্লাহ খানকে ছুরিকাঘাত করেন ইমন ও তার সঙ্গীরা।
এ ঘটনার বদলা নিতেই বৃহস্পতিবার রাতে ইমনকে পেয়ে ছুরিকাঘাত করেন আবদুল্লাহ ও তার কয়েকজন সঙ্গী। নিহতের বাবা মো. হাছান বলেন, ‘পূর্ব দ্বন্দ্বের জের ধরে আবদুল্লাহ ও তার সঙ্গীরা আমার ছেলেকে ছুরিকাঘাত করেছে।
তিন বছর আগের ঘটনায় আবদুল্লাহর পরিবার মামলা করে। বিষয়টি সামাজিকভাবে তিন লাখ টাকায় মীমাংসা হয়। যার দুই লাখ টাকা এরই মধ্যে আবদুল্লাহর পরিবারকে দেওয়া হয়েছে। বাকি ১ লাখ টাকা আদালত থেকে মামলা নামিয়ে নিলেই দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন স্থানীয় মুরব্বিরা।
মামলা মীমাংসা দিতে আদালতে আবেদনও করে বাদী। কিন্তু এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে আমার ছেলেকে ছুরিকাঘাত করা হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইমনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল নেওয়া হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
চমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরে সে মারা যায়। তবে বক্তব্যের জন্য যোগাযোগ করেও অভিযুক্ত আবদুল্লাহকে পাওয়া যায়নি। তার পরিবারও কোনো কথা বলতে রাজি হননি। কক্সবাজার সদর থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, খবর পেয়ে সদর হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল।
প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি আগের হামলার বদলা নিতেই ইমনকে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যার সঙ্গে আবদুল্লাহসহ আর যারা জড়িত তাদের ধরতে অভিযান চলছে।’ ৩ জুলাই সন্ধ্যা ৭টার দিকে খুরুশকুল ইউনিয়নের ডেইলপাড়া এলাকায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন থেকে ফেরার পথে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল উদ্দিনকে।
অভিযোগ ওঠে পুলিশের সামনেই হত্যা করা হয় তাকে। কিন্তু পুলিশ তখন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তাদের নিরব ভূমিকা ছিলো।
ঢাকা, ২২ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিআইটি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: