ব্রাহ্মণবাড়িয়া লাইভ: এবার চেয়ারম্যান নিজেই আসামী। ছাত্রলীগকে অন্যায় কাজ থেকে বাঁচাতে গিয়ে এখন নিজেই আসামী হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে নাদিম মিয়া (২৫) নামের ছাত্রলীগের এক কর্মীকে পেটানোর অভিযোগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার (১০ জুলাই) মধ্যরাতে নাদিমের বাবা মুজিবুর রহমান বাদী হয়ে আশুগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন।
মামলা পর গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম। হামলার শিকার ছাত্রলীগকর্মী নাদিম মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘ছাত্রলীগের এক কর্মী ফেসবুকে একটি শুভেচ্ছা পোস্টার শেয়ার করে। ওই পোস্টারের ওপরে বড় করে উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার ছবি দিয়েছে। নিচে ছোট করে দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারের ছবি।
এরপাশে দিয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপক্ষে নির্বাচন করে জয়লাভ করা বিদ্রোহী প্রার্থী আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের ছবি। সিনিয়র নেতাদের প্রটোকল না দিয়ে এবং দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করা বিদ্রোহী চেয়ারম্যানের ছবি দেওয়ায় আমি ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে প্রতিবাদ করি। এরই জেরে বাড়ি যাওয়ার সময় যাত্রাপুর বাজার এলাকায় চেয়ারম্যান শফিক মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে আমার ওপর হামলা চালান।
চেয়ারম্যান দলবল নিয়ে আবার আমার বাড়িতেও হামলা করেন। এ সময় আমার মাকে মারধর করে আহত করেন। তার একটি আঙুল ভেঙে গেছে। এ ঘটনায় থানায় আমার বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।’ এ বিষয়ে জানতে সোমবার সকালে অভিযুক্ত আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামের মোবাইল নম্বরে কল দিলে তার স্ত্রী পরিচয়ে এক নারী জানান, চেয়ারম্যান কোথায় আছেন তিনি তা জানেন না।
মামলার পর চেয়ারম্যান আর বাড়িতে আসেননি। মোবাইল বাড়িতে রেখে গেছেন।
আশুগঞ্জ থানার ওসি আজাদ রহমান বলেন, ছাত্রলীগকর্মীকে মারধরের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। শনিবার বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের যাত্রাপুর বাজার এলাকায় ছাত্রলীগকর্মী নাদিম মিয়ার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
ঢাকা, ১১ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: