লাইভ প্রতিবেদক: মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) গোয়েন্দা দলের অভিযানে নেমেছে। তারা বিভিন্ন স্থানে অভিযানে নেমে সন্দেহভাজনদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে বলেও তথ্য মিলেছে। এবার সেই দুটি সংস্থা ঢাকা কলেজের ছাত্রাবাসে অভিযান চালায়। সেখান থেকে আটক করে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী এক ছাত্রলীগ নেতাকে। ওই শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতার নাম জহির হাসান জুয়েল। পরে তাকে নানান তদবীরের কারণে ছাড়তে বাধ্য হয় মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব)।
এদিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার এইচ এম আজিমুল হক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রোববার বিকেলের অভিযানে এক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তবে অনেকেই বলেছেন গ্রেফতারের নামে নাটক সাজানো হয়। এই নাটক সাধারণ মানুষ পছন্দ করে না। তবে সংশ্লিস্টরা বলেছে, মূলত জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই জুয়েলকে আটক করা হয়েছিল জানিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনেককেই আটক করতে পারি।
রোববার বিকেলে রাজধানীর নিউমার্কেটে ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যকার সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা কলেজে অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) গোয়েন্দা দল। এ অভিযানে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জুয়েলকে আটক করা হয়।
ঢাকা কলেজের আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাসের ১০১ নম্বর কক্ষে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান। র্যাব ও ডিবির যৌথ অভিযানে আটক ওই শিক্ষার্থীর নাম জহির হাসান জুয়েল। আটক জুয়েল ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সর্বশেষ আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি ঢাকা কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী বলেও তথ্য মিলেছে।
পুলিশ ও গোয়েন্দাদের একটি সূত্র জানান, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষে নাহিদ নিহত হওয়ার ঘটনায় সম্পৃক্ত হিসেবে শনাক্ত ইমন এই আন্তর্জাতিক ছাত্রাবাসের ১০১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তবে অভিযানের সময় ইমন সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
ঢাকা কলেজের ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক মো. কামরুজ্জামান এ ব্যাপারে বলেন, শুনেছি ছাত্রাবাসে ডিবি ও র্যাব সদস্যরা এসেছিলেন। এসময় দুটি মোবাইল ফোনসেট জব্দ করা হয়েছে। তবে কোনো শিক্ষার্থীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কি না সে সম্পর্কে জানি না। আমি জানার পর বলতে পারবো।
এদিকে গত ১৮ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলে এ সংঘর্ষ। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর থেকে ফের দফায় দফায় শুরু হয় সংঘর্ষ। যা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অর্ধ শতাধিক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
ওই সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তারা হলেন ডেলিভারিম্যান নাহিদ ও দোকান কর্মচারী মোরসালিন। এনিয়ে সারা দেশে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। অবশেষে ওই ঘটনায় বিএনপির এক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিআইটি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: