Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com
ব্যবসায়ীদের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে

নিউ মার্কেট এলাকায় সড়কে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০২২, ০৪:১৮

সড়কে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা

লাইভ প্রতিবেদক: পরিবেশ যেন ক্রমেই অশান্ত হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের বক্তব্যকে মেনে নিতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন যা খুশি তাই বলে বেড়াবে ব্যবসায়ীরা আর নিরবে আমাদের সব কিছু মেনে নিতে হবে এটা তো হতে পারে না। এই ধরানার পরিবর্তন চাই। তাই তারা নিউ মার্কেটে সংঘর্ষ নিয়ে ব্যবসায়ীদের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে আবারো রাজপথে নেমেছেন ঢাকা কলেজের অসংখ্য শিক্ষার্থী। তারা তাদের বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করতে শুরু করেছেন বলে সংশ্লিস্টা জানিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, বুধবার বিকেল ৫টার পর পরই শিক্ষার্থীরা সড়কে নেমে আসেন। এ সময় কয়েকটি পটকা ফাটানোর আওয়াজ শোনা যায়। মিরপুর রোডে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। সাধারণ মানুষের মাঝে বিরাজ করছে অজানা আতঙ্ক। লোকজন ছুটাছুটি করছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কে শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান দিচ্ছেন।

এদিকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যানবাহন চলাচল একেবারেই বন্ধ রয়েছে। ব্যবসায়ীরা সড়কে নেমে এলেও পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। ব্যবসায়ীদের একি গ্রুপকে অনেকটা ক্ষুদ্ধ দেখা গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শিরা জানিয়েছেন। তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই ব্যবসায়ীরা একতরফাভাবে সংবাদ সম্মেলন করে সংঘর্ষের পেছনে তাদের দায়ী করেছেন।

শিক্ষার্থীরা জানান ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের এককভাবে দায়ী করে ব্যবসায়ীদের দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহার করার দাবী জানান তারা । বলেন এভাবে দোষারোপ করলে পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হবে। থাকবে না কারো কন্ট্রোলে। বিষয়টির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত নিউ মার্কেটের সব দোকান বন্ধ রাখার দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন দোকান খুললেই আন্দোলনে মাঠে নামবে শিক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত দুপুরে নিউ মার্কেট দোকান মালিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সমিতির ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন বলেন, সোমবার রাত আনুমানিক ১১টার সময় দুটি ফাস্টফুডের দোকানের দুই কর্মচারীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর একদল লোক মার্কেটের চার নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায়। এতে তাদের বেশ কিছু সম্পদ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আহত হয়েছে কয়েকজন।

ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম আরো বলেন, তখন আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সাহায্য চাই, তারা তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের সাহায্য করেন। আমরা জানতে পারি এ ঘটনায় ঢাকা কলেজের ছাত্ররা জড়িত। মঙ্গলবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বললে আমরা বন্ধ রাখি। এরপরও একদল উশৃঙ্খল যুবক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া অব্যাহত রাখে। এতেও বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ও কর্মচারী আহত হয়েছে।

প্রসঙ্গত গত সোমবার রাত ১২টার দিকে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। মঙ্গলবার দিনভর দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী এবং প্রায় অর্ধশত ব্যবসায়ী-কর্মচারী আহত হন। দুই শিক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হওয়া কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মী নাহিদ হোসেন মঙ্গলবার রাতে ঢাকা মেডিকেলে মারা যান।

অন্যদিকে ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি আছেন রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে। সংঘর্ষের খবর সংগ্রহে গিয়ে ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীদের হামলায় আহত হয়েছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের অন্তত ১০ জন সাংবাদিক। এ সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে ১২টার দিকে।

ফলে বাধাহীনভাবে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। পুলিশের কোনো সতর্কতামূলক পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। তারা অনেকটা গা এলিয়ে যে যার মতো দায়িত্ব পালন করছিলো। বিষয়টি ওই এলাকাবাসীসহ প্রত্যক্ষদর্শিরা সহজেই মেনে নিতে পারেননি। তারা পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

ঢাকা, ২০ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ