Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | মঙ্গলবার, ৭ই মে ২০২৪, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

হিজাব বিতর্ক : সেই শিক্ষিকার দায়ের করা মামলায় আটক ২

প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২২, ০২:১১

আটক কাজী সামছুজ্জোহা ও সাঈদ টিটো

লাইভ প্রতিবেদক: নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চবিদ্যালয়ের কয়েকজন মেয়ে শিক্ষার্থী ফেসবুকে ‘হিজাব পরায়’ পিটুনির অভিযোগ এনে ফেসবুকে ভিডিও প্রকাশ করে। সনাতন ধর্মালম্বী এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হিজাব নিয়ে গুজব ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানোর অভিযোগে গুজবচক্রের মূলহোতাসহ দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, আটকের পর তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এর আগে রাত সাড়ে ৩টায় নওগাঁ শহরের বইপট্টি ও কুশারসেন্টার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। ‘স্কুল ড্রেস না পড়ার কারণে স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে দুই শিক্ষক বেত্রাঘাত করেন। তাদের মধ্যে হিন্দু ছাত্রী ও ছেলে শিক্ষার্থীও ছিল। হিজাব পরার কারণে শিক্ষার্থীদের মারধর করা হয়েছে, এমন তথ্য তদন্ত প্রতিবেদনে পাওয়া যায়নি।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ বলেন, উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমোদিনী পাল বাদী হয়ে থানায় মামলা করন। পরে উপজেলা সদরের বাসিন্দা কিউএম সাঈদ টিটো (৫৫) ও কুশারসেন্টার পাড়া এলাকার বাসিন্দা কাজী সামছুজ্জোহা মিলনকে (৪৫) আটক করে পুলিশ।

এসময় ওসি আরো বলেন, আমোদিনী পালের করা মামলায় ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ধরণী কান্ত বর্মণ, সভাপতি মাহমুদুল হাসান সুমন ও নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলার গহেরপুর গ্রামের বাসিন্দা সালাউদ্দিন আহমেদসহ অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।

আমোদিনী পালের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই মো. শামিনুল ইসলাম জানান, অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পলাতক থাকায় অন্য আসামীদের গ্রেফতার কারা সম্ভব হয়নি। আসামীদের আটক করতে আমাদের চেষ্টা অব্যহত আছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, নির্ধারিত পোশাক (স্কুল ড্রেস) পরে না আসার কারণে দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রীকে শাসন করার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করা হয় হিজাব পরার শাস্তি হিসেবে। কথিত হিজাব বিতর্কের অন্তরালে রয়েছে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি দ্বন্দ্ব ও অনিয়ম-দুর্নীতি। এদিকে ধর্মীয় ইস্যুতে গুজব ছড়ানো হয়। যা ছিল অপ্রত্যাশিত। সকলের উচিত কিছু স্পর্শকাতর বিষয়ে আরো সচেতন হওয়া।

ঢাকা, ১৬ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ