Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

চট্টগ্রামে অস্ত্রের মহড়া: উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বার ২০২১, ১৯:৩৯

চট্টগ্রাম লাইভ: অবশেষে মামলা হলো তার বিরুদ্ধে। তিনি এলাকায় প্রভাবশালী। তার উপরে কথা বলার কেউ ছিলো না। যেমন আছে অর্থ তেমনি আছে লোকবল। এলাকার অনেকেরই হাতে বিদেশী অস্ত্র। কারও হাতে দেশীয় অস্ত্র। কিছুক্ষণ পরপর আগ্নেয়াস্ত্র থেকে ছোড়া হয় কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি। একইসঙ্গে ছোড়া হয় ইট-পাথরও। গত বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সদলবলে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুলের (৬০) এমন মহড়ার দৃশ্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় ১৭ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুলসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী সিরাজুল হক। মামলায় আসামি করা হয় অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ থেকে ৫০ জনকে। তবে এদের কেউ এখনো গ্রেফতার হননি।

ওই মামলার এজাহারে উল্লেখ থাকা আসামিরা হলেন- জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল (৬০), ইনজামামুল হক যুবরাজ (২৬), আবু বক্কর ছিদ্দিক রানা (৩২), মো. সেলিম উদ্দিন (৩২), মো. রাশেদ (২৮)মো. হানিফ (৪৫), শামসুল হক (৬৫), সাহাব উদ্দিন (৪৬), জামাল উদ্দিন (৩৮), নাছির উদ্দিন (৪৫), মো. মামুন ওরফে জীম মামুন (২৬) ও হামিদ (২৪)।

জানা গেছে, উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুলসহ আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে সিরাজের সম্পত্তি দখলের পায়তারা করে আসছেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার দুপুরের দিকে তারা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সিরাজের জায়গায় এসে সীমানা প্রাচীর দেওয়ার চেষ্টা করেন।

এতে সিরাজ বাধা দিলে আসামিরা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা করেন। একপর্যায়ে আসামিরা একটি বন্দুক থেকে চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেন। একইসঙ্গে মামলার দুই নম্বর আসামি ইনজামামুল হক যুবরাজ তার কোমরে থাকা একটি পিস্তল নিয়ে সিরাজের বসতবাড়িতে প্রবেশের চেষ্টা করেন।

সিরাজ দ্রুত দরজা বন্ধ করে দিলে আসামিরা তার বাড়িতে ইট-পাথর ছোড়েন। এরপর ঘটনাস্থল ত্যাগের সময় সিরাজকে আসামিরা নানাভাবে হুমকি দিয়ে যান। সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) জাকারিয়া রহমান জিকু বলেন, ‘গত বুধবারের ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুলসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।

এখনো কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে। একইসঙ্গে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’মামলার এজাহারে অস্ত্রের বিষয়ে উল্লেখ থাকলেও ধারায় উল্লেখ না করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অস্ত্রটি বৈধ নাকি অবৈধ তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে অভিযোগপত্রে সার্বিক বিষয় উল্লেখ করা হবে।’ এই পুলিশী কৌশল নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই এটাকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারছেন না।

ঢাকা, ১৮ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ