টাঙ্গাইল লাইভ : কালিহাতীতে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। নিহত ওই ছাত্রীর নাম সুমী আক্তার। সে উপজেলার মহেলা রাবেয়া সিরাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মহেলা রাবেয়া সিরাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি নির্জন কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুমী আক্তার মহেলা গ্রামের মো. রফিক মিয়ার মেয়ে।
স্কুলের প্রতিবেশী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার মহেলা রাবেয়া সিরাজ উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কুল কেবিনেট কাউন্সিল নির্বাচন চলছিল। ভোটের কারণে স্কুলের অধিকাংশ কক্ষ খালি ছিল। সুমী স্কুলে গিয়ে ওই নির্বাচনে ভোট দিয়ে ফেরার সময় স্থানীয় বখাটে রণি মিয়া (২৬) তাকে ডেকে নিয়ে মুখ বেঁধে বেদম মারপিট ও ধর্ষণ করে।
মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা সুমীকে ভ্যানে উঠিয়ে হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে সুমী মারা যায়। পরে তাকে বাড়িতে এনে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার চালানো হয়।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি সন্ত্রাসী রণির ভয়ে নাম প্রকাশ না করে জানায়, সুমীকে ছাড়াও স্থানীয় কয়েকটি মেয়েকে রণি ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে এলাকায় একাধিকবার গ্রাম্য সালিশও হয়েছে।
কালিহাতী থানা পুলিশ জানায়, ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত রণি মিয়া পলাতক রয়েছে।
মহেলা রাবেয়া সিরাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার সারাদিনই স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন চলেছিল। যার ফলে ওই নির্বাচনে ব্যস্ত থাকায় অন্য কোনো বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তবে রণির অপকর্ম নিয়ে ইতোপূর্বে সালিশ হয়েছে বলে জানান তিনি।
নিহত সুমীর বাবা মো. রফিক মিয়া জানান, সুমী সকালে ভোট দিতে স্কুলে যায়। পরে ভ্যানচালক সুমীর মরদেহ বাড়িতে রেখে চলে যায়। পরে জানতে পারেন তার মেয়ে গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিল।
তিনি আরো জানান, প্রতিবেশী প্রভাবশালী আ. সামাদ মিয়ার বখাটে ছেলে সন্ত্রাসী রণি মিয়া তাদেরকে জিম্মি করে রেখেছিল। সুমীকে জিম্মি করে ইতোপূর্বে কয়েকবার ধর্ষণ করে এবং সে দৃশ্য ভিডিও করে রাখে। ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে বারবার ধর্ষণ করেছে। রণির ডাকে না যাওয়ায় একাধিকবার সুমীকে মারধরও করেছে।
ঢাকা, ৩১ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএইচ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: