Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

কোয়ারেন্টাইনে থাকা সেই তরুণী ভয়ঙ্কর পথে পা বাড়াতে চেয়েছিলেন!

প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২১, ০৭:৩৪

লাইভ প্রতিবেদক, খুলনা থেকে: কিভাবে তিনি সমাজে মুখ দেখাবেন। কিভাবে স্বজনদের সামনে যাবেন। এই মুখ আর কাউকে তিনি দেখাতে চাননা। সড়ে যেতে চান পৃথিবী থেকে। এমন হাজারটা প্রশ্ন সেই তরুণীর সামনে। তাই তিনি কোন উপায় না পেয়ে ভয়ঙ্কর পথে পা বাড়াতে চেয়েছিলেন। করতে চেয়েছিলেন আত্মহত্যা। খুলনা পিটিআই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পুলিশ কর্মকর্তা দ্বারা ধর্ষণের শিকার সেই নারী মঙ্গলবার (১৮ মে) রাতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকা অন্যান্য এবং নারী পুলিশ সদস্যরা তাকে রক্ষা করেন। এনিয়ে চলছে নানান সমালোচনা ও আলোচনা। খুলনা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, ডাক্তারি পরীক্ষার পর মঙ্গলবার বিকেলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ওই নারীকে খুলনা পিটিআই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।

ওই নারী তাকে সেখান থেকে ছেড়ে দেয়ার দাবি জানালে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষ না হওয়ায় কেউ তাতে রাজি হননি।

এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি ঘরের দরজা বন্ধ করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় টের পেয়ে ওই সেন্টারে থাকা অন্যান্য নারী ও নারী পুলিশ সদস্যরা তাকে রক্ষা করেন।
এ ঘটনার পর জেলা প্রশাসন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেন্টারটি পরিদর্শনে যান।

এছাড়া ওই নারীকে তদারকির জন্য নারী পুলিশ নিযুক্ত করা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার (১৯ মে) ওই নারীর ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষ হচ্ছে। বুধবার তার করোনা টেস্ট করে ফলাফল নেগেটিভ হলে তাকে মুক্ত করা হবে।

এদিকে মেডিকেল পরীক্ষা ও পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে খুলনায় কোয়ারেন্টাইনে থাকা ভারতফেরত ওই নারীকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। তবে মামলার এজাহারে দুর্বলতা থাকায় আসামি এএসআই মোকলেসুর রহমানের সর্বোচ্চ শাস্তি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মীরা। গত ১৪ মে রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশের এএসআই মোকলেসুর রহমান ধর্ষণ করেন কোয়ারেন্টাইনে থাকা ভারতফেরত এক নারীকে। এমন অভিযোগে ওই নারী গত ১৮ মে খুলনা থানায় মামলা দায়েরের পর মোকলেসুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।

অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে বাঁচাতে দুর্বল এজাহার!

সেই নরপশু এএসআই মোকলেসুর রহমান

 

মেডিকেল পরীক্ষা ও পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে খুলনায় কোয়ারেন্টাইনে থাকা ভারতফেরত এক নারীকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। তবে মামলার এজাহারে দুর্বলতা থাকায় আসামি এএসআই মোকলেসুর রহমানের সর্বোচ্চ শাস্তি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মীরা।

গত ১৪ মে রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশের এ এসআই মোকলেসুর রহমান ধর্ষণ করে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ভারত ফেরত এক নারীকে। এমন অভিযোগে ওই নারী গত ১৮ মে খুলনা থানায় মামলা দায়েরের পর মোকলেসুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। মেডিকেল পরীক্ষা ও পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের আলামত মিলেছে।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. বিধান চন্দ্র ঘোষ বলেন, পরীক্ষা করে জানা যায় যে এটি যৌন মূলক কেস। বিধি মোতাবেক গাইনি ওয়ার্ডের ডাক্তাররা তাকে ওসিসিতে প্রেরণ করেন। তবে মামলার এজাহারে অসঙ্গতি স্পষ্ট। বাংলাদেশ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হলে এজাহারে ৯ এর ১ ধারা অনুযায়ী মামলাটি রজু করতে হবে।

কিন্তু বাদীর খুলনা থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে ৯ এর ৫ ধারা উল্লেখ করা হয়েছে। আইনজীবীরা জানান, এতে করে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড না হয়ে সর্বোচ্চ শাস্তি ৫ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। দুর্বল মামলা সাজানোর জন্য সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের ব্যর্থতাকে দুষছেন তারা।

মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার বিভাগীয় সমন্বকারী অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম বলেন, থানার ওসি কিভাবে এটি করেছে, তার তো ৯ এর ১ ধারা অনুযায়ী মামলাটি রজু করা উচিত ছিল। এজাহারে এ ধরনের অসঙ্গতি আসামিকে বাঁচানোর চেষ্টা বলে মনে করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ৯ এর ৫ ধারায় এ মামলার চার্জশিট হয় তাহলে বাদি কোনো অবস্থায় ন্যায় বিচার পাবেন না। তখন আসামিপক্ষের জোরালো আবেদন থাকবে আসামি দায়িত্ব অবহেলা করেছে তিনি অবশ্যই ধষর্ণের সঙ্গে জড়িত না।

তবে, অভিযোগ অস্বীকার করে খুলনা ওসি আশরাফুল আলম জানান, এ ঘটনায় যে ধারা উল্লেখ করা হয়েছে সেটা ঠিক আছে। ৯ এর ৫ তো পুলিশ হেফাজতে কেউ ধর্ষণ হয় সেইটা, সেটাই তো ধর্ষণই তো, আমার আসামি তো একজন, ধর্ষণের মামলাই তো নেয়া হয়েছে।

ঢাকা, ১৮ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ