ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ও শিক্ষাবিদ মমতাজ জাহান এ রিট আবেদনটি দায়ের করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিষ্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, এডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষাসচিব ও জাতীয় পাঠ্যপুস্তক কারিকুলাম বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যানকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটের পক্ষের আইনজীবীরা বলেছেন, কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক একটি সংগঠনের দাবির প্রেক্ষিতে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যে কিছু প্রখ্যাত লেখকদের লেখা বাদ দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বইয়ে গোলাম মোস্তফার ‘প্রার্থনা’, একই শ্রেণির বাংলা বইয়ে হুমায়ুন আজাদের ‘বই’ কবিতা, ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা চারুপাঠ থেকে এস ওয়াজেদ আলীর ‘রাঁচি ভ্রমণ’,
সানাউল হকের কবিতা ‘সভা’, আনন্দ পাঠ থেকে বাদ পড়েছে সত্যেন সেনের গল্প ‘লাল গরুটা’, একই বই থেকে শরৎচন্দ্রের গল্প ‘লালু’ ও উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরীর ‘রামায়ন কাহিনী’ বাদ দেয়া হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকে এ পরিবর্তনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি দায়ের করা হয়।
ঢাকা, ০৬ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: