Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | রবিবার, ৫ই মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

শাবিতে মধ্যরাতে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়াল ছাত্রলীগ

প্রকাশিত: ৩ মার্চ ২০১৭, ০১:৪৮



শাবি লাইভ: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্র“পে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার মধ্যরাত থেকে কয়েকঘন্টাব্যাপী ওই সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ায় অটোরিকশাযোগে অনেককেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

সংঘর্ষের ঘটনায় শাহপরান হলের সহকারী প্রভোস্ট আশীষ কুমার বণিককে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সহকারী প্রভোস্ট আবুল হাসনাত ও ফেরদৌস আলম।


জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এক সিনিয়র নেতাকে জুনিয়র কর্মীরা মারধর করে এমন অভিযোগের পর বুধবার রাত সাড়ে এগারোটায় শাহপরান হলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শাখা ছাত্রলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আসিকুজ্জামান রূপক অভিযোগ করেন, বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ফটোকপির দোকান থেকে ডেকে নিয়ে তাকে মারধর করে শাখা ছাত্রলীগের উপ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক লক্ষণ চন্দ্র বর্মণ, সদস্য বাছির মিয়া, মুনকির কাজী, হিমেল। রূপক শাখা ছাত্রলীগের  সাধারণ সম্পাদক ইমরান খানের এবং ওই চারজন যুগ্ম সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজের অনুসারী বলে জানা গেছে।


পরবর্তীতে শাহপরান হলে বিষয়টি মীমাংসা করতে গেলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এসময় দুই গ্র“পের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়। তবে অভিযুক্ত লক্ষণ বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তিনি সেখানে ছিলেন না। হট্টগোল শোনার পর সেখানে যান। শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজ বলেন, আমরা সিনিয়র জুনিয়রের মধ্যে বিষয়টি মীমাংসার উদ্যোগ নিলেও বাতি নিভিয়ে হামলা চালানো হয়। ফলে মীমাংসার উদ্যোগ ভণ্ডুুল হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান বলেন, যারা সংঘর্ষের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।


উভয়পক্ষের আহতরা হলেন মনিরুজ্জামান মনির, সুমন তালুকদার, মৃš§য় দাস ঝুটন, উজ্জ্বল সাহা, নাহিদ, পিয়াস, মুনকির, জয়, ইয়ামিন, পাপলু, শিহাব, শামসুল, জাহিদ, জুবায়ের, মনোয়ার হোসেন, সীমান্ত, ফিরোজ ও, আদনান। এদিকে আহতদের হাসপাতালে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যম্বুলেন্স ড্রাইভার মনির হোসেনকে বারবার ফোন দিলেও তার কোন সাড়া মেলেনি।

 

পরে রাতেই শাখা ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে ব্যাটারি চালিত ও সিএনজি অটোরিকশায় করে রক্তাক্ত অবস্থায় ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ