লাইভ প্রতিবেদক: ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় ৮ জনকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম এস এম মাসুদ জামান এ আদেশ দেন। ওই ৮জন হলেন জহিরুল ইসলাম (২৩), রফিকুল ইসলাম (৪৫), লিটন আলী (২২), তারিকুজ্জামান (২০), আরিফুল ইসলাম (২১), রুমন হোসেন, রাজীব আলী (২৬) ও ইয়াছিন আরাফাত (২২)।
এর আগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন এ আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আদালতে জমা দেওয়া ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্র।
চলতি বছরের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ফেসবুকে ছড়িয়ে বিজ্ঞাপন দেয়। তারা বিভিন্ন চ্যাট গ্রুপের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র আদান-প্রদান ও বেচাকেনা করে আসছিল। আসামিরা ফেসবুকের মাধ্যমে ভুয়া প্রশ্নের সন্ধান পেতেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, জ্ঞানকোষ একাডেমি কেয়ারের পরিচালক আসামি রফিকুল ইসলাম এসএসসি পরীক্ষার বিভিন্ন কেন্দ্রে অসাধু শিক্ষকদের সহায়তায় পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্নপত্রের ছবি আসামি জহিরুল ইসলামের কাছে পাঠাতেন।
জহিরুল ইসলাম ওই প্রশ্নের উত্তর সহকারে ফেসবুকে পোস্ট করতেন। আসামি তারিকুজ্জামান, আরিফুল ইসলাম, রুমন হোসেন ফেসবুকের এসব চ্যাট গ্রুপের অ্যাডমিন হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। তাঁরা ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন জেলার স্কুলের শিক্ষার্থীদের কাছে ভুয়া প্রশ্নপত্র সরবরাহ করে থাকেন।
আবেদনে আরও বলা হয়, আসামি লিটন আলী হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র তারিকুজ্জামানকে পাঠিয়েছিলেন বলে সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে ভুয়া প্রশ্নপত্র সরবরাহ করে বিকাশ ও রকেট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেছেন।
এই ভুয়া প্রশ্নপত্র চক্রের মূল হোতা ও অপর পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য রিমান্ডে নেওয়া জরুরি।
শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গতকাল বুধবার ডিবির উপপরিদর্শক নাজমুল হক বাদী হয়ে এ আসামিদের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে মামলা করেন। মামলাটির তদন্ত চলছে।
ঢাকা, ০২ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: