বরিশাল লাইভ: মাহফিল গামি যাত্রীদের বাসেও পুলিশের নজর। এরা এখানেও করতে যায় চাঁদাবাজি। কিন্তু যাত্রীরা ঐক্যবদ্ধ থাকায় পুলিশকে পরতে হয়েছে বেকায়দায়। বরিশাল নগরীর রূপাতলী এলাকায় চরমোনাই মাহফিলগামী বাসে চাঁদা দাবি করায় গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন দুই পুলিশ সদস্য।
এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা আরও দুই পুলিশ সদস্য পালিয়ে গিয়ে রক্ষা পান। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যকে তাৎক্ষণিকভাবে ক্লোজড করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে রূপাতলীর পুরনো ফেরিঘাট এলাকার আদর্শ সড়কের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে কোতোয়ালি পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন।
কোতোয়ালি থানা জোনের পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আসাদুজ্জামান ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করা হয়।
এসি মো. আসাদুজ্জামান আরোও জানান, চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠায় দুই পুলিশ সদস্যকে তাৎক্ষণিকভাবে ক্লোজড করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গণধোলাইয়ের শিকার দুই পুলিশ সদস্য হলেন মহানগর ট্রাফিক পুলিশের এএসআই অসীম উদ্দিন ও কনস্টেবল মো. চাঁন মিয়া।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার সকালে চরমোনাইগামী অনেক বাস নগরীতে ঢুকতে না পেরে পুরনো ফেরিঘাট এলাকার আদর্শ সড়কের পাশে রাখা হয়।
সেখানে পুলিশের চার সদস্য এসে বাসচালকদের কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় বেশ কয়েকজনকে মারধর করা হয়। এমনকি অনেকের মোবাইল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ।
একপর্যায়ে বাসে থাকা মাহফিলগামী যাত্রী ও স্থানীয় লোকজন একত্রিত হয়ে পুলিশ সদস্যদের ধাওয়া করলে দুজন পালিয়ে যান। এ সময় পুলিশের এএসআই অসীম ও কনস্টেবল চাঁন মিয়াকে ধরে ফেলে জনতা। পরে তাদের গণধোলাই দেয়া হয়। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটকদের উদ্ধার করে।
ঢাকা, ২৫ ফেব্রুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: