লাইভ প্রতিবেদকঃ র্যাগিংয়ের নামে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন বন্ধে এবার কঠোর আইন হচ্ছে। র্যাগিংয়ের জন্য শুধু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার নয় জেলও কাটতে হবে। র্যাগিং একটি ফৌজদারি অপরাধ। তাই এ অপরাধের জন্য ফৌজদারি আইনে মামলা হতে বাধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ মন্তব্য করেন। এর আগে শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে র্যাগিং-সংক্রান্ত বিষয়ে নীতিমালার একটি খসড়া হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। ওই নীতিমালা পর্যালোচনা করে র্যাগিং রোধে কঠোর আইন করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাইকোর্টের সংশ্নিষ্ট বেঞ্চের রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার সাংবাদিকদের জানান, এখন থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো শিক্ষার্থী গুরুতর অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে এ-সংক্রান্ত খসড়া নীতিমালা হাইকোর্টে উপস্থাপন করেছি। ওই আইনে উত্ত্যক্তের পাশাপাশি র্যাগিং শব্দটি যোগ করার জন্য আদালত নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত বছর রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের ছাত্রী অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় করা এক রিটের শুনানিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে র্যাগিং নিয়ে নীতিমালা তৈরির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ওই আদেশ অনুসারে রোববার এ খসড়া নীতিমালা দাখিল করা হয়। নবীনবরণ বা এ জাতীয় অনুষ্ঠানে র্যাগিং হয় উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলেছেন, এ জন্য এটি বন্ধে কঠিন আইন করতে হবে। এ ধরনের ব্যবস্থা না থাকায় আবরার হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটেছে বলেও মন্তব্য করেন আদালত।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ক্যাম্পাসে র্যাগিংয়ের নামে নির্যাতন অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গিয়েছে। র্যাগিং বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করেও কোন সুরাহা হচ্ছে না। তাই র্যাগিং চিরতরে বন্ধ করে দিতে কঠোর আইন হচ্ছে।
ঢাকা, ২৪ ফেব্রুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: