লাইভ প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি ও র্যাগিং বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। কারণ এই রাজনীতির কারণে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন সংগ্রাম, সংঘর্ষ এমনকি টেন্ডারবাজি ও হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটছে।
রিটে বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় তার পরিবারকে যথাপোযুক্ত ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
জানাগেছে, রোববার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট দায়ের করেন। চলতি সপ্তাহে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির শুনানি হতে পারে।
শিক্ষা সচিব, সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, পুলিশ কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
পরে অ্যাভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি চলতে দেওয়া অসাংবিধানিক। যার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।’ তিনি বলেন, ‘বুয়েটের ছাত্র আবরারের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর প্রমাণ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই।’
প্রসঙ্গত, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে গত ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরে সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি বলেন, ‘ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’
নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।
ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরদিন সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহত আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ্। আবরার হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা প্রথমে ১০ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনে নামেন।
ঢাকা, ১৩ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: