লাইভ প্রতিবেদক: এরা কারা। বার বার মধু খেয়ে নিরবে নিভৃতে চলে যায়। থাকছে ধরা ছোয়ার বাইরে। কেউ কোন কিছু টের পায়নি। অথচ ঘটনা ঘটালো দিবালোকে। এদের চিহিৃত করা উচিত। এরা আমার আপনার দেশের এমনকি সরকারী ও বিরোধী পক্ষোর শত্রু।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রিয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলীয় কর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় হেলমেট বাহিনীর তান্ডব দেখা গেছে।
এ সময় মুখে কালো কাপড় বেঁধে ও মাথায় হেলমেট পড়ে একদল যুবক পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে।
এর আগে নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর একইভাবে হামলা করতে দেখা গেছে হেলমেট পরা একদল যুবককে।
সূত্র জানায়, বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস তার মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন। এ সময় তার সঙ্গে বিশাল কর্মী বাহিনীও ছিলো।
নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে মির্জা আব্বাস সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এই সময় পুলিশ শোডাউনের পেছনে থাকা দুই বিএনপি কর্মীকে লাঠিচার্জ করে। তারা প্রতিরোধের চেষ্টা করেন।
কিন্তু পুলিশ আবারো লাঠিচার্জ করলে উত্তেজিত কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এতে বেশ কয়েকজন দলীয় কর্মী আহত হয়। এতে বিএনপি কর্মীরা সরে গিয়ে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে।
এরইমধ্যে একদল যুবক মুখে কালো কাপড় এবং মাথায় হেলমেট পরে পুলিশের গাড়ির ওপর তান্ডব চালায়। ভাঙচুর করতে থাকে।
তারা পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সংঘর্ষ শুরুর আগে গত দুই দিনের মতো আজকে শান্তিপূর্ণভাবে মনোনয়নপত্র বিতরণ ও গ্রহণ চলছিল। একইভাবে সেখানে সমাগম ছিল বিপুল সংখ্যক দলীয় কর্মী-সমর্থক।
জানা গেছে এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। এরা কারা এদের শনাক্ত করতে পুলিশ ও গোয়েন্দারা কাজ করছেন।
এদিকে
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতেই পরিকল্পিত, ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ।
আজ বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ তথ্য দিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে যাচ্ছে। সর্বত্র শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। যখন দেশের মানুষ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত তখনই তারা পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।’
মনোনয়ন সংগ্রহের সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হলেও আওয়ামী লীগের ধানমণ্ডি কার্যালয়ে কেন পুলিশ নেই এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নয়াপল্টনের রাস্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে ধানমণ্ডির রাস্তা একটি বাই-লেন।’
নির্বাচন বানচাল করতে এ হামলার পেছনে সরকার রয়েছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেওয়া বক্তব্য বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতার বক্তব্যকে আমরা চ্যালেঞ্জ জানাতে চাই না। ঘটনার ভিডিও আমরা সবাই দেখেছি। বিএনপি নেতাদের নিরাপত্তার জন্য সেখানে পুলিশ ছিল। বিএনপির দুই নেতা সেখানে গেলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিএনপি নেতা-কর্মীরা হামলার মুডে ছিল।’
সব ধরনের পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার প্রস্তুত বলে জানান আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা দেওয়ার বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা দেওয়া হচ্ছে না। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে।’
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘সংলাপের সময় বিএনপি নেতারা আমাদের তালিকা দিয়েছে। তালিকা যাচাই-বাছাই চলছে।’
ঢাকা, ১৪ নভম্বের (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: