বগুড়া লাইভ: এবার বগুড়ায় সরকারি গুদাম থেকে প্রায় ১৫৩ কোটি টাকার টাকার সারের হিসাব মিলছে না। আর এই ঘটনায় সাবেক গুদাম রক্ষক এবং শ্রমিক লীগের একজন নেতাকে আসামি করে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
জানাগেছে বুধবার সকালে দুদকের বগুড়ার সমম্বিত কার্যালয়ের সহকারী-পরিচালক আমিনুল ইসলাম আদমদীঘি থানায় মামলাটি করেন। এতে আসামি হয়েছেন আদমদীঘির সান্তাহার সরকারি সারের গুদামের সাবেক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবির উদ্দিন ও সান্তাহার শহরের ঠিকাদারী ব্যবসায়ী ও আদমদীঘি উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম রাজা।
এ ব্যাপারে আদমদীঘি থানার ওসি মনিরুল ইসলাম মনির ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, সাবেক গুদাম রক্ষক ও শ্রমিক লীগ নেতার যোগসাজসে এই সার আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।
এতে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৬ সালের ২৪ জুন তারিখের মধ্যে ৫২ হাজার ৩৪২ মেট্টিক টন সার গায়েব হয়েছে। এর মূল্য ১৫৩ কোটি ৩৬ লাখ ১৩ হাজার ৭৫২ টাকা।
এই সার বিভিন্ন পরিবহন ঠিকাদারের কাছ থেকে গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু মজুদাগারের স্টক রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ না করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন বগুড়ার সমম্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, গুদামরক্ষক নবির উদ্দিন এবং শ্রমিক লীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম সরকারি গুদামের সার গোপনে বিক্রি করেছেন- এমন তথ্য দুদকের কাছে আসলে প্রাথমিক তদন্তে এর সত্যতা পাওয়া যায়। বুধবার বিষয়টি নিয়ে মামলা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আদমদীঘি থানায় সার আত্মসাৎ সংক্রান্ত এটি দুদকের দ্বিতীয় মামলা। এর আগে ছয় কোটি টাকার রাসায়নিক সার আত্মসাতের অভিযোগে দুদক ২০১৭ সালের ২ অক্টোবর একটি মামলা করে। সে মামলায় আসামি ছিলেন নবির উদ্দিন খান।
সঙ্গে ছিলেন সার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সাউথ ডেল্টা শিপিং অ্যান্ড ট্রেনিং গ্লোবের নির্বাহী পরিচালক মশিউর রহমান, সান্তাহার বাফার স্টক গুদামের সাবেক হিসাব কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান। সেই মামলায় নবির উদ্দিন খান জামিনে রয়েছে। তবে এনিয়ে বিভিন্ন ভাবে তদবীরে নেমেছেন ওই রাশেদুল ইসলাম রাজা।
ঢাকা, ৩১ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: