Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

জাবালে নূরের মালিকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবার ২০১৮, ২০:৪৬

লাইভ প্রতিবেদক: বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার মামলায় জাবালে নূর পরিবহনের মালিক শাহাদাত হোসেনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের ফলে মামলার অানুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ইমরুল কায়েস আসামিদের অব্যাহতির আবেদন না মঞ্জুর করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। কারাগার থেকে শাহাদাত হোসেনসহ চারজনকে আদালতে হাজির করা হয়। অভিযোগ গঠনের সময় তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায় বিচার পাওয়ার প্রত্যাশা করেন।

গত ৭ অক্টোবর পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। পলাতকদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন আসায় ঢাকা মহানগর হাকিম (এসিএমএম) কায়সারুল ইসলাম মামলাটি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠান।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের মালিকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। পলাতক থাকায় কাজী আসাদ ও জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় সোহাগ আলী ও রিপন হোসেনকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

গত ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম অভিযোগপত্রটি জমা দেন। এতে ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়। তারা হলেন, জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের মালিক শাহাদাত হোসেন ও জাহাঙ্গীর আলম, দুই বাসচালক মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের সুমন এবং তাদের দুই সহকারী এনায়েত হোসেন ও কাজী আসাদ। তাদের মধ্যে শাহাদাত হোসেনের মালিকানাধীন বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থী মারা যান। কাজী আসাদ ও জাহাঙ্গীর আলম এখনও পলাতক।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত ২৯ জুলাই দুপুরে চালক ও তাদের সহকারীরা বেশি যাত্রী ওঠানোর লোভে যাত্রীদের কথা না শুনে, তাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করে জিল্লুর রহমান উড়াল সড়কের ঢালের সামনে রাস্তা ব্লক করে দাঁড়ায়। এ সময় চালক মাসুম বিল্লাহ সেখানে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ১৪-১৫ জন ছাত্রছাত্রীর উপর বাস উঠিয়ে দেন।

এতে ঘটনাস্থলেই দুই শিক্ষার্থী নিহত ও নয়জন আহত হন। নিহতরা হলেন ওই কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম রাজীব (১৭) ও একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম (১৬)। সেদিন বাস দুটি দুই থেকে তিনবার একে অপরকে ওভারটেক করে।

এ ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী দিয়া খানমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। এরপর মিরপুর ও বরগুনা জেলায় অভিযান চালিয়ে জাবালে নূরের তিন বাসের তিন চালক এবং তাদের দুই সহযোগী এনায়েত ও রিপনকে গ্রেফতার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১)। এরপর গত ১ আগস্ট সন্ধ্যায় র‌্যাবের পক্ষ থেকে জাবালে নূরের একটি বাসের মালিক শাহাদাত হোসেনকে (৬০) গ্রেফতারের খবর জানানো হয়।

 

 

ঢাকা, ২৫ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ