চট্টগ্রাম লাইভ: এবার মন্ত্রণালয়ের গাড়িতে অস্ত্র ও ইয়াবা নিয়ে তোলপাড় চলছে। কারা এসব উঠিয়েছে, কাদের ইন্ধন রয়েছে এনিয়ে চলছে তদন্ত। জানাগেছে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টিকারযুক্ত একটি মাইক্রোবাস থেকে ২০ হাজার ইয়াবা ও ৮টি অস্ত্র জব্দ করেছে র্যাব। ওই গাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে দুজনকে।
যারা শুধুমাত্র গাড়ি চালক ও চালকের সহকারি বলে দাবি করেছে। রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরীর লালখান বাজার এলাকায় আক্তারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভারের প্রবেশমুখে বসানো চেকপোস্টে তল্লাশির সময় এসব ইয়াবা ও অস্ত্র জব্দ করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, আলমগীর হোসেন (৩০) ও আল শাহরিয়ার (২৫)। তাদের বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। জব্দকৃত অস্ত্রগুলোর মধ্যে চারটি ওয়ান শ্যূটার গান ও চারটি একনলা বন্দুক বলে জানিয়েছেন র্যাব কর্মকর্তারা।
র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের উপ-অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়েত জামিল ফাহিম বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল টেকনাফ থেকে ইয়াবা নিয়ে একটি মাইক্রোবাস ঢাকার দিকে যাচ্ছে। সেই সংবাদের ভিত্তিতে আমরা ফ্লাইওভারের প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসাই।
কিন্তু পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি দেখে প্রথমে আমি কনফিউজড হয়ে যাই।
সোর্স থেকে কনফার্ম হয়ে সেটি থামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। এতে ২০ হাজার ইয়াবা ও ৮টি অস্ত্র পাওয়া যায়। র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের সহকারী পরিচালক এএসপি মিমতানুর রহমান ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, স্টিকার লাগানো হলেও মাইক্রোবাসটি প্রকৃতপক্ষে মন্ত্রণালয়ের নয়। এটি ইয়াবা পাচারকারীদের একটা কৌশল।
আমরা অতীতেও এই ধরনের স্টিকারযুক্ত গাড়ি থেকে ইয়াবা জব্দ করেছি। মন্ত্রণালয়ের স্টিকার থাকলে সাধারণত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তল্লাশি করবে না- এমন ধারণা থেকেই তারা স্টিকার লাগায়। অস্ত্র সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সম্ভবত এত টাকার ইয়াবা নিরাপদে নিয়ে যাওয়ার জন্যই অস্ত্র রাখা হয়েছিল। আমরা যখন তাদের আটকাই, তখন তারা গুলিও করতে পারত।
তবে এতগুলো অস্ত্র থেকে ধারণা করা হচ্ছে-এই ইয়াবা পাচারে শুধু চালক বা তার সহকারি নয়। আরও কেউ আছে। তারা চেকপোস্ট বসানোর বিষয়টি বুঝতে পেরে সটকে পড়েছে। হয়তো চালক বা তার সহকারি অস্ত্র চালাতেই জানে না।
ঢাকা, ০৭ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: