Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শুক্রবার, ৩রা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

চোখ বেঁধে বুকে-পিঠে পেরেক ঢুকিয়ে দেয় যে কারণে

প্রকাশিত: ১ অক্টোবার ২০১৮, ০৮:১০

সিলেট লাইভ: নিষ্টুর। পাষান্ড। এমন কাজ কোন মানুষ সুষ্ঠ অবস্থায় করতে পারে না। এরা অসুস্থ। এরা মানবতার শত্রু । এমন দাবী করেছেন সিলেটের অনেকেই। সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় চুরির অপবাদ দিয়ে নিষ্ঠুর ও পৈশাচিক কায়দায় দুই কিশোরকে নির্যাতন করা হয়েছে।

ওই দুই কিশোর বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। তাদের চোখ বেঁধে বুকে-পিঠে পেরেক ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। নির্যাতনের শিকার কিশোররা হলো- দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার ইউনিয়নের হকিয়ার চর গ্রামের আল ইমরান (১৫) ও মোল্লারবন গ্রামের ইমরান আহমদ (১৬)।

পরে তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের পুলিশের কাছে তুলে দেয়া হয়। এরপর পুলিশ দুই কিশোরকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান পীর ফয়জুল হক ইকবালের জিম্মায় ছেড়ে দেয়। পরে পরিবারের লোকজন তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসকরা তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে তথ্য মিলেছে।

মহানগর পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশের ওসি খায়রুল ফজল ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দুই কিশোরকে চেয়ারম্যানের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।

যারা গরু চুরির কথা বলে মারধর করেছে তারা কোনো অভিযোগ দেয়নি। ওই দুই কিশোরের পক্ষ থেকেও কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে শহর থেকে বাড়ি ফেরার পথে আল ইমরান ও ইমরান আহমদকে রাস্তা থেকে লোকমান আহমদের নেতৃত্বে তার লোকজন ধরে নিয়ে যায়। এরপর গরু চুরির অপবাদ দিয়ে তাদের অমানবিক নির্যাতন করা হয়। নানান ভাবে অত্যাচারও চালানো হয়েছে।

তাদেরকে প্রথমে চোখ বেঁধে বুকে-পিঠে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে পেরেক ঢুকিকে দেয়া হয়। বেধড়ক পেটানো হয় তাদের। মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত নির্মম নির্যাতনের পর তাদের তুলে দেয়া হয় পুলিশের হাতে। এই ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে বলেও জানাগেছে।

পুলিশ জানায়, লালাবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পীর ফয়জুল হক ইকবাল বলেন, নির্যাতন করা হয়েছে এ কথা সত্য। চোরকেও কেউ এমনভাবে নির্যাতন করে না। নির্যাতনের পর পুলিশের কাছে তুলে দিলে আমি তাদের আমার জিম্মায় ছাড়িয়ে এনেছি। বর্তমানে তারা ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছে।

লালাবাজার ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবদুর রহিম ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, এই দুই কিশোর চোর নয়। পূর্ব-শত্রুতার জের ধরেই চুরির অপবাদ দিয়ে দুই কিশোরকে পৈশাচিক নির্যাতন করা হয়।

দুই কিশোরকে নির্যাতনকারীরা হলেন- লোকমান আহমদ, শিপন আহমদ, জাহেদ মিয়া, তারেক মিয়া, রাসেল মিয়া, জাবের মিয়া, সাদ আহমদ, শাহাজাহান, মিজান, লিপন ও বাবুল আহমদ। তারা উপজেলার বিবিদইল গ্রামের বাসিন্দা। তাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে।


ঢাকা, ৩০ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ