লাইভ প্রতিবেদক: ১২ জন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারের ৩ দিন পরেও অস্বীকার ও আদালতে হাজির না করায় উদ্ধেগ প্রকাশ এবং অবিলম্বে তাদের সন্ধান দাবী করেছে গ্রেফতারকৃত ছাত্রদের পরিবারবৃন্দ। এরা রাজধানীর টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র বলে জানাগেছে।
নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে গত ০৫/০৯/২০১৮ তারিখে দিবগত রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে বহু ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্য ডিবি কার্যালয় থেকে অনেককে ছেড়ে দিলেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১২ জন ছাত্রকে তিনদিন পরও এখনো আটক রেখেছে বলে দাবী করা হচ্ছে।
যাদের অনেকেই রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র। তাদের মধ্যে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ছাত্র-মেহেদী হাসান রাজিব, ইফতেখার আলম রুবেল, রায়হানুল আবেদীন জুয়েল, তারেক আজিজ, সজিব, মোঃ জহিরুল ইসলাম হাসিব, ইফতেখার আলম, রায়হানুল আবেদীন জুয়েল, তারেক আজিজ।
এছাড়া বোরহান উদ্দিন, মুজাহিদুল ইসলাম, মাহফুজ আহমেদ, মেহেদী হাসান রাজিব, সরকারী তিতুমীর কলেজের ছাত্র-সজিব, জাহাঙ্গীর আলম, সরকারী সাদাত কলেজের ছাত্র সাইফুল্লাহ বিন মানসুর, ভার্সিটি ভর্তিচ্ছুক- জহিরুল ইসলাম হাসিব ও আল আমিন।
গ্রেপ্তারকৃত অবিভাবকদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও আদালতে হাজির করা হয়নি তাদেরকে। অথচ তাদের ব্যপারে ডিবি কার্যালয়ে অভিভাবকরা যোগাযোগ করলে তারা জানায় আজ শুক্রবার তাদের আদালতে হাজির করা হবে।
কিন্তু আজও ছাত্রদেরকে আদালতে হাজির করা হয়নি। পুলিশ কর্মকর্তারা কখনো আশ্বাস দিচ্ছে আবার কখনো গ্রেপ্তারের কথা অস্বীকার করছে। যা পরিবারের উদ্ধেগকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে।
গ্রেফতারকৃত মুজাহিদুল ইসলামের পিতা মাহবুবুল আলম জানান- আমার সন্তানকে গ্রেপ্তারের পর অস্বীকার, দেখা করতে না দেয়া এবং আদালতে হাজির না করা প্রচলিত আইনে ঠিক নয়। আমরা তার মুক্তি চাই। আমাদের সন্তানকে ফেরত চাই। এমনকি উচ্চ আদালতের নির্দেশেরও সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন। যা অস্বাভাবিক বিষয়। আমি আমার সন্তানকে নিয়ে শঙ্কিত।
গ্রেফতারকৃত জহিরুল ইসলাম হাসিবের পিতা একজন শিক্ষক। তিনি সন্তানের গ্রেফতারের কথা শুনে সকালে ঢাকা আসেন। তিনি বলেন আমার সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়ের কোচিং করার জন্য ঢাকায় এসে মেসে উঠে। কোন রাজনীতির সাথে জড়িত না। সারাদিন ডিবির কার্যালয়ে ঘুরাঘুরি করার পরও সন্তানের কোন খোজ পাইনি।
অবিভাবকগন বলেন, যাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, আমাদের সন্তানদেরকে ডিবি কার্যালয় রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সকল আইনি সুবিধা গ্রহণ করার অধিকার আমাদের আছে। কিন্তু এখানে আইনি অধিকার থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি।
আমরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছে আমার সন্তানদের নিরাপত্তা দাবি করছি। একই সাথে অবিভাবক গন সন্তানদের সন্ধানের জন্য সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
ঢাকা, ০৭ সেপ্টেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: