হবিগঞ্জ লাইভ: আমার পিতা ভেতরে। আর সন্ত্রাসীরা ঘুরে প্রকাশ্যে। তারা বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছ পুলিশের নাকের ডগার সামনে। এমন কথা বলেই কেঁদে উঠে নিহত ওয়াহিদ মিয়ার পাঁচ বছরের শিশু সন্তান। হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় শেখ ওয়াহিদ মিয়া (৪০) হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করছে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী।। এতে অংশ নিয়েছে নিহত ওয়াহিদ মিয়ার পাঁচ বছরের শিশু সন্তানও ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় শুক্রবার সকাল ১০টায় উপজেলার পুটিজুরী বাজার এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ মানববন্ধন হয়। মানববন্ধনে পুটিজুরী ইউনিয়নের সহস্রাধিক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। পার্শ্ববর্তী স্নানঘাট ইউনিয়নের বাসিন্দারাও মানববন্ধনে অংশ নেন। তারা হত্যাকারীর ফাঁসি দাবী করেন।
এ ব্যাপারে বাহুবল মডেল থানা পুলিশের ওসি মাসুক আলী বলেন, আসামিরা সবাই পলাতক। গ্রেফতারের সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
ওই মানববন্ধনে বাবা হত্যার বিচার দাবিতে এসেছিল পাঁচ বছরের মেয়ে মিনহা। তার বুকে ঝোলানো ফেস্টুনে লেখা ছিল- ‘আমার বাবা কবরে সন্ত্রাসীরা কেন বাইরে’। এসব স্লোগান ও ওই শিশুর কান্নায় আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে।
ওই আয়োজনে নিহতের মা, স্ত্রী ও অবুঝ সন্তানের কান্নায় পরিবেশ স্তব্ধ হয়ে যায়। এ সময় উপস্থিত লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়েন। সবার একটিই দাবি- সব খুনিকে গ্রেফতার করে ফাঁসি দেয়া হোক। তাদেরকে যেন কেউ শেল্টার দেয়া না হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৮ আগস্ট প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত হন শেখ ওয়াহিদ মিয়া। ঘটনার পর দিন ১৯ আগস্ট রাতে পুটিজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন আহমেদ তারা মিয়াসহ ১৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন নিহতের বড় ভাই ফারুক মিয়া। কিন্তু আসামীরা ঘুরে বেড়ালেও গ্রেফতার করছে না পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, একটি রাস্তা মেরামতের কাজ পেয়েছিলেন ওয়াহিদ মিয়া। ওই কাজের ভাগ নিতে চেয়েছিলেন পার্শ্ববর্তী গ্রামের শাহনাজ মিয়া। এতে রাজি না হওয়ায় ওয়াহিদকে পুটিজুরী বাজারে ছুরিকাঘাত করেন শাহনাজ।
পরে স্থানীয়রা ওয়াহিদকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শেখ ওয়াহিদ উপজেলার মীরেরপাড়া গ্রামের শেখ আব্দুল্লাহ মিয়ার ছেলে। তিনি ছিলেন এলাকায় জনপ্রিয়।
ঢাকা, ২৪ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: