পাবনা লাইভ: হায়রে বাইক প্রেমিক। বউয়ের চেয়ে বাইকের দিকেই নজর ছিল তার। বাইকের প্রতি অগাধ টান। টান নেই বউয়ের প্রতি। তাই বউ রেখে পালালো এক জামাই।
ওই স্বামী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্ত্রীকে রেখে দৌড়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে গেলেন। ওই স্বামীর নাম শামীম হোসেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় নানান আলোচনা সমালোচনা চলছে।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও নার্সর ও আশে পাশের লোকজন ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, বিকেলে এক ব্যক্তি মোটরসাইকেলযোগে এক নারীকে নিয়ে আসেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই নারীকে রেখেই দৌড়ে পালিয়ে যান ওই ব্যক্তি। পরে পরীক্ষা করে দেখা যায় ওই নারী মৃত। এনিয়ে গোটা এলাকায় এখন তোলপাড় চলছে।
এ ব্যাপারে সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বাবলু ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় শামীম। তবে শামীম কেন স্ত্রী নিশিকে হত্যা করল তার কারণ জানতে পারিনি। পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ঈশ্বরদীর বড়ইচারা গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে নিশাত ইসলাম নিশির (২২) সঙ্গে জয়নগর হাজিপাড়া শফিকুল ইসলাম সরদারের ছেলে শামীম হোসেনের দেড় বছর আগে বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগে ছিল। নিশির মা রোজিনা খাতুন বলেন, বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় নিশিকে মারধর করত শামীম। ঈদের দিন বিকেলে নিশির বাবার বাড়ি থেকে জোরপূর্বক তাকে নিয়ে যায় শামীম।
বৃহস্পতিবার নিশিকে হত্যা করে হাসপাতালে মরদেহ রেখে পালিয়ে যায় শামীম। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমরা এই হত্যার কঠিন বিচার চাই। এর ফাঁসি চাই।
ঢাকা, ২৩ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: