Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | মঙ্গলবার, ৭ই মে ২০২৪, ২৪শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

আঙ্গুল পুলিশের দিকে: রাতে পুলিশ হেফজতে সকালে লাশ

প্রকাশিত: ২১ আগষ্ট ২০১৮, ০৩:৪০

পঞ্চগড় লাইভ: রাতে পুলিশ হেফাজতে। সকালে লাশ। ওই হতভাগা যুবকের নাম হাসানুর রহমান মিলন (২০)। এই দৃশ্য দেখে দুই বোন থানা চত্বরেই জ্ঞান হারালেন। পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থানায় এই ঘটনা ঘটে। পুলিশি হেফাজতেই মিলনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে থানার একটি টয়লেট থেকে গলায় কম্বল পেঁচানো অবস্থায় মিলনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এনিয়ে গোটা জেলায় তোলপাড় চলছে।

নিহত মিলনের পরিবারের অভিযোগ নির্যাতন ও মারপিটের মাধ্যমে তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে পুলিশ। মিলন দেবীগঞ্জ উপজেলা সদরের থানাপাড়া গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে।


এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয়রা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে। পরে দেবীগঞ্জ-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে তারা। পরে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসের ভিত্তিতে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।

পুলিশ বলেছে মাদক মামলার আসামি মিলনকে গভীর রাতে গাঁজাসহ গ্রেফতার করা হয়। সকালে টয়লেটের ভেন্টিলেটরের সঙ্গে গলায় কম্বল পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। সোমবার দুপুরে বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহমুদ হাসানের উপস্থিতিতে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এনিয়ে এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ওই দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি মো. আমিনুল ইসলাম ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, সোমবার রাতে মিলনকে গাঁজাসহ আটক করা হয়। আগেও তার বিরুদ্ধে মাদকের মামলা রয়েছে।

সকালে টয়লেটে গিয়ে কম্বল গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে মিলন। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহের সুরতহাল তৈরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মিলনের পরিবারের সদস্যরা জানায়, পারিবারিক বিবাদের কারণে অভিভাবকরা মিলনকে রোববার গভীর রাতে দেবীগঞ্জ থানায় সোপর্দ করে। দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই কালাম তাকে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়। সোমবার সকাল ১০টার দিকে মিলনের দুই বোন খাবার নিয়ে থানায় গেলে তাকে দেখতে দেয়নি পুলিশ। পরে টয়লেটের মধ্যে গলায় কম্বল পেঁচিয়ে মিলনের আত্মহত্যার কথা জানায় পুলিশ। কিন্তু তারা তা বিশ্বাস করেনি।

মিলনের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন স্থানীয়রা। তারা দেবীগঞ্জ থানা ঘেরাও করে পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করতে থাকেন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে পুলিশের বিচার দাবি করেন তারা। মিলনের বাবা হবিবর রহমান ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, পারিবারিক কলহের কারণে রোববার গভীর রাতে থানায় ফোন করে পুলিশের হাতে মিলনকে তুলে দিই।

আমার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না। স্থানীয়ভাবে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল। সেই ক্ষোভে তাকে মারপিটের পর হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখে ফাঁসির কথা বলছে পুলিশ। দেবীগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর আকসাদুল ইসলাম ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, রাতে পুলিশ তাকে থানা হেফাজতে নেয়।

সকালে কিভাবে এবং কেন আত্মহত্যা করলো মিলন। আমরা শতভাগ নিশ্চিত পুলিশ তাকে হত্যা করেছে। এখানকার পুলিশ টাকা ছাড়া কোনো কাজ করে না। এমন দেন দরবার কয়েক বার হয়েছে।

 

ঢাকা, ২০ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ