লাইভ প্রতিবেদক: অবশেষে কোটা সংস্কারে প্রজ্ঞাপনের দাবিতে আন্দোলনের জেরে গ্রেফতার সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ, ফারুক হোসেন, এ পি এম সুহেল, সাখাওয়াত হোসেন রাতুল ও যুগ্ম-আহ্বায়ক লুৎফুন্নাহার লুনাসহ ৮ জনের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। অবশেষে মঞ্জুর করেছেন আদালত।
যদিও সোমবার সকালে তাদের সাতজনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত। পরে দ্বিতীয় দফায় তাদের জামিন চাইলে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। জামিন পাওয়া অপর তিনজন হলেন তরিকুল ইসলাম, মশিউর রহমান ও জসিম উদ্দিন।
ওই নেতাদের আইনজীবী জায়েদুর রহমান বলেন, সকালে সাত জনের জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। দুপুরে জামিনের জন্য আমরা পুনরায় আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারীর আদালত তা মঞ্জুর করেন।
এসময় নিরাপদ সড়ক আন্দোলন চলাকালীন দুই ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার লুৎফুন্নাহার লুনারও জামিন আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। আদালত তা মঞ্জুর করেন।
তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ভিসির বাসা ভাঙচুর, পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা ও আইসিটি আইনে দায়র করা তিন মামলায় তাদের জামিন আবেদন করা হয়। এর মধ্যে শাহবাগ থানার আইসিটি আইনে ও ভিসির বাসা ভাঙচুরের মামলায় রাশেদের জামিন আবেদন করা হয়।
ভিসির বাসা ভাঙচুরের মামলায় জামিনের আবেদন করা হয় সুহেল, মশিউর ও জসিমের। এছাড়া পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দেয়ার ঘটনায় করা মামলায় জামিনের আবেদন করা হয় ফারুক ও তরিকুলের। এ ছাড়াও ভাঙচুর ও আইসিটি আইনের মামলায় জামিনের আবেদন করা হয় রাতুলের।
উল্লেখ্য, গত ৮ এপ্রিল কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে দায়িত্বরত পুলিশকে মারধর, কর্তব্যে বাধা, পুলিশের ওয়াকিটকি ছিনতাই ও ভিসির বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার অভিযোগে ১০ এপ্রিল শাহবাগ থানায় চারটি মামলা হয়।
এর মধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। আর ভিসির বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সিকিউরিটি অফিসার এসএম কামরুল আহসান বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেন।
ঢাকা, ২০ আগস্ট (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: