লাইভ প্রতিবেদক: চট্টগ্রামে ডিবি পরিচয়ে বাসায় ঢুকে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার পাঁচ যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আল ইমরান খান এই আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারি কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পাঁচ যুবককে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তিনদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন, চকবাজারের বাদুরতলা জঙ্গিশাহ বাড়ির মৃত ইঞ্জিনিয়ার মাহমুদুর রহমান চৌধুরীর ছেলে মো. মহিউদ্দীন (২২), বাদুরতলার মুন্সেফ আলীর বাড়ির মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে সাইমুন ইসলাম সাকিব (২২), বাদুরতলা জঙ্গিশাহ বাড়ির মৃত আবু নাছেরের ছেলে আসিফ ইকবাল (২৫), চান্দগাঁও থানার বারইপাড়া ছত্তার মেম্বারের বাড়ির মো. জামাল উদ্দিনের ছেলে রাজবির হোসেন নয়ন (২২) এবং একই এলাকার হাজী রমজান আলীর বাড়ির আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোশারফ হোসেন আকাশ (২২)।
মামলার অভিযোগে থেকে জানা গেছে, জঙ্গীশাহ মাজারের পূর্ব পাশে আলম ভিলার ৪র্থ তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকেন দুই কলেজছাত্রী। স্থানীয় কিছু যুবক চলাফেরার পথে উত্যক্ত করতেন ওই দুই কলেজছাত্রীকে।
গত ৯ জুলাই রাত আটটার দিকে প্রাইভেট শিক্ষক বাসায় আসার পর পরই বাসার দরজা নক করার শব্দ পাওয়া যায। এ সময় দরজার পাশে গিয়ে কে জিজ্ঞেস করতেই ডিবি পুলিশের লোক বলে পরিচয় দেয়। এ সময় ডিবি পুলিশ মনে করে দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে ৫ যুবক ধাক্কা দিয়েই বাসায় প্রবেশ করে। সবাইকে মারধর করে।
মামলায় আরো উল্লেখ্য করা হয়, গলায় ছোরা ধরে সাকিব ও তার এক সহযোগী ওড়না কেড়ে নিয়ে দুই হাত বেঁধে ফেলে। এরপর সাকিব তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় তার সহযোগীদের কেউ ধর্ষণের সেই ভিডিও চিত্র ধারণ ও নগ্ন ছবি তোলে। দাবি করা চার লাখ টাকা না দিলে নগ্ন ছবি নেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয় তারা।
উল্লেখ্য, ওই পাাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে সিএমপি চকবাজার থানার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন/২০০০ (সংশোধিত) ২০০৩ এর ৯(১)/১০/৩০ তৎসহ পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(২) এবং দঃ বিঃ ৪৪৮/৩২৩/৩৮৫/৩৮৬/৫০৬/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন ধর্ষণের শিকার ওই কলেজছাত্রী। গত শুক্রবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
ঢাকা, ১৬ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: