লাইভ প্রতিবেদক: ছি! এসবের জন্য কে দায়ী! সমাজ, নাকি যৌনক্ষুধা। তবে কি নারী সমাজ পুরুষের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হচ্ছে? এমনটাই প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। আবার কেউ কেউ ভাবতে শুরু করেছে, দেশের নারীবাদীরা নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে পুরষদের উপর যুলুম করছে, যার ফলে সমাজে এমন ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন জঘন্য ঘটনা থেকে সমাজকে বাঁচাতে হলে নারীদের একটু পুরুষদের ক্ষেত্রে উদার মনভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে নিশ্চই। কারণ হিসেবে বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, যৌন অভাব না থাকলেই কেবল শিশুরা সহ সমাজের এধরনের উশৃঙ্খল পরিবেশ দূর হতে বাধ্য।
এবার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে গুদামঘরে আটকে জোর করে ইয়াবা বড়ি খাইয়ে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দিবাগত রাতে ধর্ষিতাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই গুদামঘর থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ঢাকার ধামরাইয়ে এমন ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকেলে রিপন হোসেনের মেয়ে রিমা আক্তারের বাড়িতে বেড়াতে আসে সাভারের গাজীরচট এলাকার পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া ওই ছাত্রী। রিমা টাকার লোভে ছাত্রীটিকে তার বন্ধু ধামরাইয়ের গাইরাকুল গ্রামের মৃত অধীর চৌধুরীর ছেলে দেবাশীষ চৌধুরীর কাছে তুলে দেয়।
দেবাশীষ মেসার্স অর্নব এন্টারপাইজ নামে একটি গুদামঘরে আটকে রেখে ওই স্কুলছাত্রীকে ইয়াবা ট্যাবলেট খাইয়ে রাতভর ধর্ষণ করে। পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে শনিবার সন্ধায় রক্তাক্ত অবস্থায় ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় ওই ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ রিমা আক্তারকে আটক করে। তবে মূল ধর্ষক দেবাশীষ চৌধুরী পালিয়েছে।
ধামরাই থানার এসআই কামাল হোসেন ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, ধর্ষণে সহযোগিতা করার অপরাধে রিমা আক্তারকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং মূল ধর্ষক দেবাশীষকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ঢাকা, ০৮ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: