লাইভ প্রতিবেদক: কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানের আকুতি শুনে অনেকেই নানান মন্তব্য করছেন। গ্রেফতারের পূর্বে রাশেদ হতবিহবল হয়ে পড়েন।
নানা ভাবে আকুতি-মিনতি করেন। রাজপথে আন্দোলন ও তার গ্রেফতারের খবরটি শেয়ার দেয়ারও অনুরোধ করেন। তার আশঙ্কা তাকে গুম করা হবে?
জানাগেছে রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এমনটি জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান।
এদিকে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, দুপুরে রাজধানীর মিরপুর থেকে রাশেদকে ধরে নিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা প্রথমে পরিচয় দিতে চাননি। পরে জানিয়েছেন তারা পুলিশ।
তিনি আরও জানান এছাড়াও রাশেদের সঙ্গে থাকা মাহফুজ খান নামে অারেকজনকেও ধরে নিয়ে গেছে সাদা পোষাকধারী পুলিশ সদস্যরা।
উল্লেখ্য এর আগে শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) হামলার শিকার হয়েছেন কোটা সংস্কারের সঙ্গে যুক্ত 'সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদে'র কর্মীরা।
কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনকারীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করতে গেলে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ওই ঘটনা ঘটে। হামলার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন আন্দোলনকারীরা।
তবে ছাত্রলীগ বলছে, একটি গ্রুপ ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করায় সাধারণ ছাত্ররা তাদের প্রতিহত করেছে। তারা কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের কিছু করেননি।
ওদিকে হামলার পর সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে কোটা সংস্কারের আন্দোলনে থাকা সংগঠনটি। নিজেদের ফেসবুক পেজে এই কর্মসূচি ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।
‘রাশেদকে বাসা থেকে ডিবি পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তুলে নিয়ে গেছে। এ সময় তাকে অনেক মেরেছে। মিরপুর ১৪ নম্বর বাসানটেক বাজার, মজুমদার মোড় ১২ নম্বর বাসা থেকে তাকে তুলে নেয়া হয়।
এর আগে রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে রাশেদ জানান, ডিবি পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। আমাকে বাঁচান। আমাকে ধরতে ধাওয়া দিলে আমি দৌড়ে বাসায় এসেছি। এখন দরজায় ধাক্কা দিচ্ছে।’
ভিডিও:
ঢাকা, ০১ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)/এজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: