বরিশাল লাইভ: নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের ১০ সদস্য আটক করেছে পুলিশ। প্রশ্নপত্র ফাঁস পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বরিশালে সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ১০ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়। আটকদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের জন্য ৩টি আধুনিক ব্লুটুথ ডিভাইস এবং ৮টি মোবাইল ফোন ও নগদ দেড় লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
শনিবার বরিশালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল কোতোয়ালি থানায় আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ।
মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. মাহফুজুর রহমান ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের অবস্থানের খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে নগরীর হেমায়েত উদ্দিন সড়কে ইম্পেরিয়াল আবাসিক হোটেলে অভিযান চালায় পুলিশ।
সেখান থেকে তিন পরীক্ষার্থীসহ মোট সাতজনকে আটক করা হয়। হোটেলের ৪০৬ নম্বর কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয় নগদ দেড়লাখ টাকা, ৩টি আধুনিক ব্লুটুথ ডিভাইস, ৮টি মোবাইল ফোন।
আটককৃতরা হলেন, প্রশ্ন ফাঁস চক্রের মূলহোতা ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল ইসলাম বাপ্পী, শহিদুল ইসলাম সোহেল, ফাতেমা বেগম, নাজমিন নাহার মনি, এলিনা বেগম রুপা, আনোয়ার হোসেন ফকির, আহসান হাবিব হাওলাদার, জহির উদ্দিন জুয়েল, জায়েদা খাতুন ও বাদল বেপারি।
আটকদের তথ্যের ভিত্তিতে নগরীর নিউ সার্কুলার সড়কে ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল ইসলাম বাপ্পীর বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে এবং ওই বাসায় অবস্থানকারী পরীক্ষার্থী জায়েদা খাতুন ও তার স্বামী বাদল বেপারীকে আটক করা হয়।
পুলিশ কমিশনার মো. মাহফুজুর রহমান ক্যাম্পাসলাইভকে আরো জানান, আটক হওয়া পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা পুলিশকে জানায়, নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের সহায়তা করার জন্য প্রতিজন পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ২ লাখ টাকা করে মোট ৬ লাখ টাকা আদায় করেছে ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল ইসলাম বাপ্পী ও তার সহযোগী শহীদুল ইসলাম। এ জন্য দালালি বাবদ দেড়লাখ টাকা পেয়েছে সোহেল।
ঢাকা, ২৬ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: