লাইভ প্রতিবেদক: উত্তরা ইউনিভার্সিটির ছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিরা রিমান্ডে একে অন্যকে দোষারোপ করেছে। তুরাগ পরিবহনের বাসের চালক রোমান বলছে সহকারী নয়ন মেয়েটিকে আটকিয়েছে। অপরদিকে সহকারী নয়ন বলেছে চালকের নির্দেশে এ কাজ করেছে সে। অন্যদিকে ভাড়া সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা মনির বলেছে বাকি দু’জনের কথা।
এব্যাপারে পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে তারা সকলে মিলেই ওই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করেছে বলে জানিয়েছে। গুলশান থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাপস কুমার বলেন, আদালত থেকে রিমান্ড মঞ্জুরের পর আসামিরা একে অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে। প্রথমদিকে তারা কেউ ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির দোষ স্বীকার করছিল না। পরবর্তীতে তিনজনের বক্তব্যে বোঝা যায় তারা সংঘবদ্ধভাবে মেয়েটির শ্লীলতাহানি করেছে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ওই দিনের ঘটনার বর্ণনায় বলে যে, দুপুরে সাধারণত বাসে যাত্রীর উপস্থিতি তেমন থাকে না। সেদিন বাসটির অবস্থাও তাই ছিল। হাতেগোনা কয়েকজন যাত্রীকে যাবে না বলে জানিয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয় তারা।
এরপর মেয়েটিকে আটকে রাখার পরিকল্পনা করে। সবাইকে নামিয়ে দেয়ার পর মেয়েটিকে কিছুদূর নিয়ে যায়। এরপর হয়রানি শুরু করে। তার গায়ে হাত দেয় চালকের সহকারী নয়ন ও ভাড়া সংগ্রহকারী মনির। তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করে। পাশাপাশি তাকে ইঙ্গিত করে বাজে মন্তব্য করে। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী গাড়ি থেকে নামতে চাইলে তাকে বাধা দেয়া হয়। একপর্যায়ে বাসের মধ্যে মেয়েটির সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এসে পৌঁছুলে অনেকটা জোর করে বাস থেকে লাফ দেয় ওই শিক্ষার্থী।
তাপস কুমার আরো বলেন, পূর্ব পরিকল্পনা না থাকলেও সুযোগ বুঝে তারা মেয়েটির শ্লীলতাহানি করে। অল্প সময়ের মধ্যেই তা করে। সব যাত্রীকে নামিয়ে তাকে আটকে রেখে সংঘবদ্ধভাবে শ্লীলতাহানি করে তারা।
এদিকে ভুক্তভোগী ছাত্রীর স্বামী জানান, আসামিরা দোষ স্বীকার করেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে চার্জশিট প্রত্যাশা করি। সুষ্ঠু বিচারের অপেক্ষায় আছি। এখন আদালত কি রায় দেন তার জন্য অপেক্ষা করছি।
তিনি আরো বলেন, আমার স্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করছে। তবে সেদিনের ঘটনার পর থেকে তার মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে। কিছু তো বলা যায় না। যদি কিছু হয়ে যায়। আমিও টেনশনে।
ঢাকা, ১১ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: