Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

ধর্ষক স্কুল শিক্ষক রবিউলের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন ওই ছাত্রী

প্রকাশিত: ৯ মে ২০১৮, ০২:৫২

লাইভ প্রতিবেদক: শিক্ষক নয়, শিক্ষক নামের কলঙ্কের দাগ লাগিয়ে দিয়েছে রবিউল। একাধিক ছাত্রীর সাথে যৌন সম্পর্ক গড়ে তুলাই যার নেশা। শুধু আমাকেই নয় আমার মতো আরো অনেককেই ভুলভাল বুঝিয়ে তাদের সর্বনাশ করছে মূখুশধারী রবিউল ইসলাম। এভাবেই ধর্ষক রবিউলের অপকর্মের বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে ওই ছাত্রী।

মাদারীপুরের শিবচর উমেদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করেছে ওই শিক্ষক। ভিডিও ফাঁসের ভয় দেখিয়ে তিন বছর ধরে ধর্ষণ করে বলে জানায় ওই শিক্ষার্থী। শিক্ষক রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই ছাত্রীর মা।

জানা গেছে, গতকাল সোমবার রাতে শিবচর থানায় মামলাটি করা হয়। মামলার এক মাত্র আসামি শিক্ষক রবিউল গত দেড় মাস ধরে পলাতক। মায়ের সঙ্গে থানায় মামলা করতে এসে বারবার

থানার ওসি জাকির হোসেন বলেন, ওই ছাত্রীকে নিয়ে তার মা থানায় আসেন। তখন মেয়েটি কান্না করছিল। কান্নারত অবস্থায় ওই ছাত্রী রবিউলের নানা অপকর্মের বর্ণনা দেয়। পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) শাজাহান মিয়া এবং আমি ওই ছাত্রীকে বারবার স্বাভাবিক করার চেষ্টা করি। রবিউলকে গ্রেফতার ও শাস্তির আশ্বাস দিই। তবুও কিছুতেই থামছিল না মেয়েটির কান্না। অনেক বুঝিয়ে-শুনিয়ে তাদের বাড়ি পাঠাই।

ওসি বলেন, শিক্ষক রবিউলের বিরুদ্ধে মেয়েটি যে তথ্য দিয়েছে তা রোমহর্ষক। প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে তিন বছর ধরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছে রবিউল। এছাড়া আরও দুই ছাত্রী অভিযোগ দিয়েছে। মামলা হয়েছে। মামলা ও স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে রবিউলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছি আমরা। তাকে ধরতে ইতোমধ্যে আমাদের অভিযান শুরু হয়েছে।

ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর দাবি, পুলিশ নিজে থেকেই আমাদের বাড়ি ও স্কুলে গিয়ে ঘটনার খোঁজ-খবর নিয়েছে। আমি রবিউলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

মামলার বাদী ছাত্রীর মা বলেন, শিক্ষক রবিউল আমার মেয়েসহ অনেক মেয়ের জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক। আমরা তার শাস্তি চাই।

প্রসঙ্গত, উপজেলার উমেদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রবিউল ইসলাম ৫ম ও ৮ম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রীদের দেখভাল করতো। সেইসঙ্গে ছাত্রীদের ফ্ল্যাটে নিয়ে দাওয়াত খাওয়াতো ও পড়াতো। এর মধ্যে বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীর ওপর নজর পড়ে তার। ওই ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে রবিউল। এরপর তাকেও ফ্ল্যাটে নিয়ে দাওয়াত খাওয়ায় ১ সন্তানের জনক রবিউল।

স্ত্রী অন্য উপজেলায় চাকরি করার সুবাদে রবিউলের ফ্ল্যাটে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতো সবাই। এর মধ্যে একদিন ৭ম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ করে রবিউল। এরপর শুরু হয় ব্ল্যাকমেইল। ধর্ষণের ওই ভিডিও ফাঁস করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করা হয় ওই ছাত্রীকে। এভাবে চলে তিন বছর। এর মধ্যে একাধিকবার ছাত্রীর গর্ভপাত ঘটায় রবিউল।

কিছুদিন আগে অন্য ছাত্রীদের ফ্ল্যাটে ডেকে নেয়া দেখে আপত্তি জানায় ওই ছাত্রী। একপর্যায়ে ছাত্রী জানতে পারে, বিদ্যালয়ের আরও কয়েকজন ছাত্রীকে একই ধরনের কাজে বাধ্য করেছে রবিউল। তাদের সঙ্গেও রবিউলের অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। বিষয়টি সবাইকে জানানোর কথা বললে ওই ছাত্রীকে আবারও ধর্ষণ করে রবিউল। এভাবে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রবিউল ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।

অবশেষে উপায় না পেয়ে রবিউলের বিচার চেয়ে গত ১৩ মার্চ ওই ছাত্রী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়। এরপরই একের পর এক বের হয়ে আসে রবিউলের অপকর্মের তথ্য।

 

 

ঢাকা, ৮ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ