Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | সোমবার, ৬ই মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

নর্থসাউথ ভার্সিটির সাবেক চেয়ারম্যান ও ছেলে গ্রেফতার

প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বার ২০১৬, ০১:৪৮

লাইভ প্রতিবেদক: নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক চেয়ারম্যান শিল্পপতি রাগীব আলীকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। তিন মাস ভারতে থাকার পর ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় ভিসা নবায়ন করতে বাংলাদেশে আসার সময় তাকে আটক করা হয়।

আটকের বিষয়টি রাগীব আলী নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় আমি নবায়ন করতে যাচ্ছিলাম তখনই আমাকে আটক করা হয়। ভারতীয় পুলিশ করিমগঞ্জের একটি রেস্ট হাউস থেকে তাকে আটক করে।

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) সুজ্ঞান চাকমা জানান, আজই পুলিশের কাছে রাগীব আলীকে হস্তান্তর করবে ভারত। দেশে আনার পর তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে। সিলেটের দু'টি মামলায় গ্রেফতার এড়াতে রাগীব আলী সপরিবারে পালিয়ে ভারতের করিমগঞ্জে চলে যান।

এর আগে গত ১২ নভেম্বর ভারতের করিমগঞ্জ থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় সিলেটের জকিগঞ্জ স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ রাগীব আলীর ছেলে আব্দুল হাইকে আটক করে। পরে দু’টি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালত নেয়া হলে আদালত তাকে জেলা হাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, সিলেটের তারাপুর চা-বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তি ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতি করে বন্দোবস্ত নেন রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাই। এ ঘটনায় ২০০৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সিলেটের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম আবদুল কাদের বাদী হয়ে রাগীব আলী ও আবদুল হাইকে আসামি করে মামলা করলে পুলিশ তদন্ত করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে মামলা নিষ্পত্তি করে।

গত ১৯ জানুয়ারি সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ তারাপুর চা-বাগান পুনরুদ্ধারের রায় দেন। এ রায়ে ১৭টি নির্দেশনার মধ্যে এ মামলাটি পুনরায় তদন্ত করার নির্দেশও দেয়া হয়।

গত ১০ জুলাই রাগীব আলী ও ছেলেকে অভিযুক্ত করে পিবিআই আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। ১০ আগস্ট দু’জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে পরদিন ১১ আগস্ট তারা ভারতে পালিয়ে যান। আসামির অনুপস্থিতিতেই গত ১৯ সেপ্টেম্বর মামলার অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্যদিয়ে বিচার শুরু হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, দুপুরে সিলেটের জকিগঞ্জ স্থলবন্দর দিয়ে স্ত্রী-সন্তানসহ দেশে ফেরেন আবদুল হাই। ইমিগ্রেশনে দু’টি ওয়ারেন্ট থাকায় তাকে গ্রেফতার করে জকিগঞ্জ থানায় পাঠানো হয়।

এ মামলার অন্যতম আসামি দেওয়ান মোস্তাক মজিদও কারাগারে রয়েছেন। তিন মাস আগে দু’টি মামলায় চার্জশিট দাখিলের পর আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এর মধ্যে জালিয়াতি মামলার অপর আসামি তারাপুরের সেবায়েত পংকজ গুপ্ত জামিনে রয়েছেন।

এ ঘটনায় ২০০৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সিলেটের তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম আবদুল কাদের বাদী হয়ে রাগীব আলী ও আবদুল হাইকে আসামি করে মামলা করলে পুলিশ তদন্ত করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে মামলা নিষ্পত্তি করে।

সিলেট জেলা পুলিশের মুখপাত্র সুজ্ঞান চাকমা জানান, আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ থানায় জালিয়াতি ও প্রতারণা মামলার দু’টি ওয়ারেন্ট রয়েছে। জকিগঞ্জ থেকে তাকে বিশ্বনাথে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে আদালতে হাজির করা হবে।

ঢাকা, ২৪, নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)// আইএইচ

 

 


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ