লাইভ প্রতিবেদক: লজ্জা, ঘৃনা, আর আত্মবিশ্বাস হারিয়ে আত্মহত্যা করেছে স্কুলছাত্রী। কি হবে আর বেঁচে থেকে! যখন বেঁচে থাকার মত জীবনের সকল স্বাদ, ইচ্ছা আর বেঁচে থাকার মত শেষ ভরসাটুকুন হরিয়ে ফেলে! তখন আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট্য থাকে না নিজের কাছে।
ঠিক এমনটিই ঘটেছে সূচনার জীবনে। সাততলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। রবিবার সকালে তেজগাঁও শিল্প এলাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় ওই স্কুলছাত্রী। নিহত সূচনা খাতুন (১৮) পুঠিয়া পৌর সদর এলাকার কালীতলার সাইফুলের মেয়ে।
জানা গেছে, অসামাজিক কাজের অভিযোগে পুলিশ সূচনাকে আটক করে জেল হাজতে পাঠায়। তার সাথে সন্দেহজনক ভাবে আরও দুই যুবককেও আটক করে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে আটককৃতদের আদালতে প্রেরণ করে।
পরে আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন দেন। জামিনে বাড়ি আসার পর লজ্জায় শনিবার সকালে ঢাকার তেজগাঁওয়ের পূর্ব নাখালপাড়া বোনের বাড়িতে চলে আসে। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সাততলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে ওই স্কুলছাত্রী।
সূচনার খালা আফিয়া বেগম বলেন, আমার বোন তার দুই মেয়েকে নিয়ে শনিবার বিকালে আমার বাসায় আসে। রাত ৯টার দিকে সূচনা সাততলা ভবনের ছাদ থেকে লাফ দেয়। এতে সে গুরুতর আহত হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে তেজগাঁও শিল্প এলাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সে মারা যায়।
পুঠিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার বলেন, সূচনা আমাদের বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল বিভাগ থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। শারীরিক অসুস্থতার কারণে সে কয়েকটি পরীক্ষা দিতে পারেনি।
এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার ওসি সায়েদুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। পরে দুই যুবকসহ ওই মেয়েকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করি। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে।
সূচনার আত্মহত্যার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই মেয়েটি মারা গেছে কিনা সেটি আমার জানা নেই।
ঢাকা, ১১ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: