Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | শনিবার, ৪ঠা মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

পুরাতন কারাগারের ‘ডে-কেয়ার সেন্টারে’ থাকছেন খালেদা

প্রকাশিত: ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮, ২২:০২

লাইভ প্রতিবেদক: পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। সেখানকার ‘ডে-কেয়ার সেন্টারে’ থাকতে হচ্ছে বিএনপি চেয়াপারসন খালেদা জিয়াকে। এ জন্য ডে-কেয়ার সেন্টারের নিচতলা আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানা যায়।

সাবেক এ কেন্দ্রীয় কারাগারে মহিলা কয়েদিদের বাচ্চাদের জন্য ডে কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থা রাখা হয়। সেই ডে কেয়ার সেন্টারে এখন বন্দী জীবন কাটাতে হবে খালেদা জিয়াকে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। রায় ঘোষণার পর দুপুর ২.৫০টায় কারাগারের নেয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়।

কারাগারে নেয়ার জন্য খালেদা জিয়ার নিজ গাড়িতে তোলা হয়। সেখান থেকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারের উদ্দেশে রওনা হয় পুলিশ বেষ্টিত গাড়িটি। বিকেল ৩টায় নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে পৌঁছায় গাড়িটি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যদি তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে তাহলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রিজন সেলে তাকে স্থানান্তর করা হবে।

‘কারাগারে ভিআইপির মর্যাদা পাবেন খালেদা জিয়া’- এমনটি জানিয়েছেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। তিনি আরো বলেন, কারাগারে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা (ভিআইপি) পাবেন তিনি। জেল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ আমাদেরকে বিষয়টি জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া সবাইকে ধৈর্য ধারণ করতে বলেছেন।’ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আদালতের রায়ে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং তারেক রহমানসহ বাকিদের ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

দণ্ডবিধি ১০৯ ও ৪০৯ ধারায় খালেদা জিয়াসহ বাকিদের সাজা দেয়া হয়। বয়স বিবেচনায় খালেদা জিয়ার সাজা কমানো হয় বলে রায়ে উল্লেখ করেন আদালত। কারাদণ্ডে পাশাপাশি সব আসামিকে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার পুরাতন ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় এ রায় দেন। মোট ৬৩২ পৃষ্ঠার রায়ের বিশেষ অংশ পাঠ করেন বিচারক।

রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়া ও আরও দুই আসামি। প্রথমেই বিচারক রায়ের প্রসিকিউশনের অভিযোগগুলো পড়ে শোনান।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

 


ঢাকা, ০৮ ফেব্রুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ