সুনামগঞ্জ লাইভ: স্কুলছাত্রী শ্যালিকাকে নিয়ে পালিয়ে গেছে তার দুলাভাই। ঘটনাটি নিয়ে জেলাজুড়ে তোলপাড় চলছে। আলোচনা আর সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজারে এই ঘটনাটি ঘটে। স্ত্রীকে মিথ্যা কথা বলে তালাকনামায় স্বাক্ষর নিয়ে শ্যালিকাকে নিয়ে পালিয়ে যায় স্বামী সাইদ আহমদ নামের এক যুবক।
জানাগেছে নবম শ্রেণির স্কুলছাত্রী শালিকাকে নিয়ে আত্মগোপন করে সাইদ। অবশেষে তার শেষ রক্ষা আর হয়নি। নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার বালিপাড়া এলাকা থেকে শ্যালিকাসহ সাইদকে আটক করে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ।
দুইজনকেই জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। রোববার নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর বয়স নির্ধারণের জন্য ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সাইদ আহমদ’র বাড়ি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার আশাউড়া গ্রামে। সে আশাউড়া গ্রামের আক্রম আলীর পুত্র।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সাঈদ আহমদ ’১৫ সালে বিয়ে করে দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালীয়া ইউনিয়নের ভবানিপুর গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধা কন্যাকে। তাদের সংসারে এক কন্যা সন্তানও রয়েছে।
সম্প্রতি সে ব্যাংক হিসাবের গ্যারান্টার হওয়ার কথা বলে সাদা স্টাম্পে স্ত্রীর স্বাক্ষর নেয়। পরে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে শ্বশুর শাশুড়িকে চাকরি হয়েছে বলে ওই স্টাম্পে তাদেরও স্বাক্ষর নেয়।
পরে সাঈদ সাদা স্টাম্পে তালাকনামা লিখে কোর্টে জমা দিয়ে শ্যালিকাকে নিয়ে সুনামগঞ্জ তার আত্মীয়ের বাসায় বেড়ানোর কথা বলে গত বছরের ২৭শে সেপ্টেম্বর উধাও হয়ে যায়।
এ ঘটনায় শ্বশুর তার বিরুদ্ধে দোয়ারাবাজার থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। গত বুধবার নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার বালিপাড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করে দোয়ারাবাজার থানার এসআই মঞ্জুরুল আলম।
বৃহস্পতিবার দোয়ারাবাজার থানা থেকে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। সাইদের স্ত্রী ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, আমি কোনো তালাকনামায় স্বাক্ষর করিনি।
সে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। দোয়ারাবাজার থানার ওসি সুশিল রঞ্জন দাস ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, গত চার মাস ধরেই তারা পালিয়ে আত্মগোপনে ছিল। আমরা মোবাইল ফোন ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে তাদের অবস্থান শনাক্ত করে আটক করতে সক্ষম হই।
পরে তাদের অবস্থান জেনে গ্রেফতার করি। এব্যাপারে মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন আছে।
ঢাকা, ২৭ জানুয়ারি (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: